বেনজির! মুখ্যমন্ত্রী আসবেন না,অভিমানে ট্যাংরার শতবর্ষের পুজোর উদ্বোধন বাতিল

টানা গত কয়েক বছর ধরেই দুর্গাপুজো উদ্বোধনের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চেয়ে আসছে ট্যাংরার ঘোলপাড়া দুর্গাপুজো কমিটি। চেষ্টাও চলেছে মরিয়া হয়েই।
কিন্তু অতীতে কোনওবারেই সময় দিয়ে উঠতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। এবার ট্যাংরার ঘোলপাড়া দুর্গাপুজোর শতবর্ষ। এ বছর পুজো কমিটির তরফে তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়েছিল, ‘এবার আমাদের পুজোর ১০০ বছর। এবার অন্তত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে স্বল্প সময়ের জন্য আসুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। কিন্তু
শত ব্যস্ততায় এবারও মুখ্যমন্ত্রী সময় বার করতে পারেননি। ফলে শতবর্ষেও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে আসেনি এই পুজো। 

শতবর্ষের আমন্ত্রণেও যেহেতু সময় করে উঠতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী, তাই অভিমানে এবার শতবর্ষের পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
ট্যাংরা ঘোলপাড়া সার্বজনীনের সভাপতি প্রমথেশ সেন বলেছেন, ‘দিদিকে আবেদন জানানো হয়েছিল ট্যাংরা ঘোলপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের শতবর্ষের পূজার উদ্বোধন করার জন্য। কিন্তু দিদি সময় না দেওয়ার জন্য আমরা এবং পল্লীবাসী অভিমানাহত।’ তিনি জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যরা শতবার্ষিকী এই পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সর্বসাধারনের দেখার জন্য প্রতিমা খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রমথেশ সেনের কথায়, ‘এই প্রত্যন্ত অঞ্চল ট্যাংরায় দিদি কখনও পুজোর উদ্বোধন করতে আসেননি। আমরা আশা করেছিলাম এই শতবার্ষিকীতে উনি অন্তত আসবেন। কিন্তু তিনি না আসায় আমরা মর্মাহত। দিদি আসতে না পারায় আমরা বিকল্প কাউকে আনার কথাই ভাবিনি।পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই।”


ট্যাংরা ঘোলপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের শতবর্ষের পুজোয় এবার কন্যাভ্রুণ হত্যা, গাছ কাটা, শিশুশ্রম, নারী পাচারের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে প্যান্ডেলে। জঙ্গলের পরিবেশ থাকছে প্রাঙ্গন জুড়ে। মূল উপাদান হিসেবে নারকেল কাঠি, কুশ ঘাস, খড়, তারের জালি। আলো আঁধারির পরিবেশে থাকবেন দেবী। অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই সেই মণ্ডপের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-সিপিআইএমের বোধদয়, মহারাষ্ট্রে জোট, জনসংযোগের বার্তা

Previous articleব্রাত্যর হাত ধরে কাল থেকে বাংলায় নতুন যুগ শুরু করছে “e অঞ্জলি”
Next articleগুমনামি দেখার পর কলম ধরে কী জানালেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়?