সিপিআইএমের বোধোদয়, মহারাষ্ট্রে জোট, জনসংযোগের বার্তা

দেরিতে হলেও সিপিআইএমের অবশেষে বোধদয়। বিজেপির জয়রথকে থামাতে তাই মহারাষ্ট্রর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করবে সিপিআইএম। মূলত বেঙ্গল লাইনের পথে গিয়ে মহারাষ্ট্রে সিপিআইএম কিছু আসনে সমঝোতা করছে, আবার কিছু আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে।

মহারাষ্ট্রে লঙ মার্চ খ্যাত সিপিএমের কৃষক নেতা অশোক ধাওয়াল জানিয়েছেন, বিজেপি এখন দেশের কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ। তাকে আটকাতে হবে। তাই রাজনৈতিক ফারাক থাকলেও এনসিপির সঙ্গে জোটে যাচ্ছে দল বৃহত্তর স্বার্থে। সিপিআইএমের কাছে তামিলনাড়ুর হাতে গরম উদাহরণ রয়েছে। সেখানে কংগ্রেস আর ডিএমকের সঙ্গে জোট করে লোকসভায় সিপিআইএম চারটি আসন পেয়েছিল। মহারাষ্ট্রে কৃষক আন্দোলনের পর সিপিআইএমের জনসমর্থন বেড়েছে। ফলে আশায় রয়েছে দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বাংলা মহারাষ্ট্রে সম্ভব হলে কেন তা ত্রিপুরায় সম্ভব নয়! সম্প্রতি ত্রিপুরা উপ নির্বাচনে সিপিআইএম ১৩% শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে। বিজেপির কমেছে ১৪% ভোট। বাধারঘাট বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি ২০ হাজারের কিছু বেশি ভোট পায়। সিপিআইএম পায় ১৫ হাজারের কিছু বেশি। অন্যদিকে কংগ্রেস পায় ৯ হাজারের কিছু বেশি। বাম মহলে প্রশ্ন, কং-বাম জোট হলেই বিজেপি ধরাশায়ী হতো। সে সুযোগ কেন হাতছাড়া করা হল? ত্রিপুরা সিপিআইএম অতীত থেকে শিক্ষা না নিয়ে বলেছে, এখানে কংগ্রেস রঙ বদলে গেরুয়া বাহিনীর হয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দলে পাল্টা প্রশ্ন, যারা কংগ্রেসে রয়েছে, দল বদলাননি, তাদের সঙ্গে জোটে অসুবিধা কোথায়? কংগ্রেস যে জমি হারায়নি এবং রাজ্যবাসী যে এই কয়েক বছরেই বিজেপির উপর আস্থা হারাচ্ছে, তা ভোটের ফলেই পরিস্কার। তাহলে কেন ‘তথাকথিত ‘অশুভ শক্তি’কে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে!

চতুর্থীর বিকেলে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। তিন দিনের বৈঠকে এই বিষয় উঠে আসবেই। সেই সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে নয়া কর্মসূচিও তৈরি হবে।

আরও পড়ুন-ফের দিল্লিতে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক!

Previous articleবাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজো উদ্বোধনে অরূপ-প্রিয়াঙ্কা
Next articleব্রাত্যর হাত ধরে কাল থেকে বাংলায় নতুন যুগ শুরু করছে “e অঞ্জলি”