চাঁদা নয়, সদস্যদের উদ্যোগেই চলছে পঞ্চাননতলা ইয়ুথ অ্যাসোসিশেয়নের পুজো

পুজো মানেই চাঁদার জুলুম। তঠস্থ পল্লিবাসী। কিন্তু এর মধ্যে ব্যাতিক্রমী বেলঘড়িয়া পঞ্চাননতলা ইয়ুথ অ্যাসোসিশেয়ন। সে পাড়ায় পুজোর আনন্দে মেশে না চাঁদার বাড়াবাড়ি। কারণ, স্থানীয়দের থেকে টাকা নেয় না এই ক্লাব। প্রধান পৃষ্টপোষক প্রণব বিশ্বাসের উদ্যোগে ক্লাব সদস্যারাই নিজেদের সাধ্য মতো দিয়ে পুজো করেন। এর জন্য সারা বছর ধরেই তাঁদের বাজেট ধরা থাকে। দুর্গাপুজো কতটা প্রাণের হলে, তবে এই উদ্যোগ নেওয়া যায়! সঙ্গে আছে গ্লোবাল ফোর্স ম্যানেজমেন্ট।

এবার এই পুজোর 11তম বছর। বাজেট ২০ লাখ টাকা। থিম ‘ফিরে দেখা’। মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে অনেক মূর্তি। যেগুলি তৈরি হয়েছে অপ্রচলিত, অব্যবহৃত জিনিস দিয়ে। শিশুদের দুধ খাওয়ানোর ঝিনুক থেকে তুবড়ির মাটির খোল, ফোম, লোহার পাইপ সব কিছুই কাজে লাগানো হয়েছে এখানে। পঞ্চাননতলা ইয়ুথ অ্যাসোসিশেয়ন ও গ্লোবাল ফোর্স ম্যানেজমেন্টের যৌগ উদ্যোগে এই পুজোয় বাদ যায় না খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিছুই। ষষ্ঠী থেকে দশমী পাত পেড়ে খান এলাকার সবাই। সঙ্গে থাকে নাচ, গান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এবারের পুজো উদ্বোধন করেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। প্রধান উদ্যোক্তা প্রণব বিশ্বাসের মতে, প্রাণের উৎসবে বাজেট নয়, আনন্দই আসল মূলধন।

আরও পড়ুন – ঢাক বাজিয়ে পুজো উদ্বোধন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Previous articleঢাক বাজিয়ে পুজো উদ্বোধন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Next articleদুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানালেন হাসিনা