Saturday, November 15, 2025

মোদি এবং হাসিনা তাঁদের নতুন ইনিংসে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। হায়দরাবাদ হাউসে দিল্লি-ঢাকার দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের পর 7টি চুক্তিপত্রে সই করেছে ভারত এবং বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া বোতাম টিপে VDO কনফারেন্সে 3টি যৌথ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করলেন মোদি-হাসিনা। হাসিনাকে পাশে রেখে মোদি বলেন,‘‘গত এক বছরে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে VDO কনফারেন্সে 9’টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এখন আরও 3টি হল। সব মিলিয়ে এক বছরে এক ডজন প্রকল্প শুরু করা গেল।’’

কূটনীতিকদের বক্তব্য, গত 5 বছরে ধারাবাহিক ভাবে একটি মাত্র প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ধরে রাখা গিয়েছে। সেটা বাংলাদেশ। মোদির কথায়, ‘‘ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব গোটা দুনিয়ার সামনে এক ইতিবাচক উদাহরণ। আজকের আলোচনার পর এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে যে 7 পাতার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে গোড়াতেই বলা হয়েছে, ‘দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রচলিত এবং অপ্রচলিত ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে চলার প্রশ্নে সহমত হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শুরু হওয়া দু’দেশের মধ্যে অপরিবর্তনীয় এই অংশীদারির ঐতিহ্য যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটাও নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।’
যে সাতটি চুক্তি সই এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের আজ উদ্বোধন হল, তার মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহণের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিতে চাইছে বিদেশ মন্ত্রক। গত সাত বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছিল। এর ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার আর্সেনিক-দুষ্ট পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ফেনি নদীর জল সাব্রুম জেলার মানুষ পান করতে পারবেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশ থেকে এলএনজি আমদানি সংক্রান্ত চুক্তিও সই হয়েছে। মোদী বলেন, ‘‘এর ফলে বাংলাদেশের আর্থিক লাভ হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে।’’ আর হাসিনার কথায়, ‘‘এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শক্তি ক্ষেত্রে চাহিদা মিটবে।’’ দু’দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা-শিলিগুড়ি বাস পরিষেবা চালু করার বিষয়টিকে দুই নেতাই স্বাগত জানিয়েছেন।’
যে তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে চার তলা বিবেকানন্দ ভবন চালু করা। মোদি এর আগে স্থলসীমান্ত চুক্তি সই করতে গিয়ে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন। আজ তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বেই রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দের প্রভাব রয়েছে। বাংলা সংস্কৃতির উদারতার প্রতিফলন রয়েছে তাঁদের মধ্যে।’’

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version