রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো, অগ্নিমূল্য বাজার দরে হাতে ছ্যাঁকা মধ্যবিত্ত বাঙালির

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। মেগা কার্নিভাল দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালির দুর্গাপুজো। এবার রাত পোহালেই বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তবে ধনদেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে গিয়ে পকেটে টান পড়ার জোগাড় সাধারণের। প্রতিমা থেকে শুরু করে পুজোর উপকরণ কিংবা শাক-সবজি, ফুল-ফল- সবেরই দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগবেই। তবে সবকিছুকে উপেক্ষা করে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে কসুর করছে না বাংলা। হাত পুড়িয়েই কেনাকাটা সারছেন বাঙালি। পকেট গড়ের মাঠ হলেও কোথাও খামতি নেই লক্ষ্মীপুজোর উপাচারে।

আসলে লক্ষ্মী পুজোয় সুযোগ বুঝে কোপ মারেন বিক্রেতারা। শুধু কলকাতা কেন, জেলার বিভিন্ন সবজি-ফুল-ফলের বাজার আগুন। ক’দিন আগে দুর্গা পুজোতেও যে শসা বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা কিলো দরে, তা-ই এখন দাঁড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকা। অন্যান্য ফলের দামও মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে মাত্র দু-তিনদিনের ব্যবধানে। আপেল ৮০-১২০টাকা কেজি।ন্যাসপাতি- ১০০-১২০টাকা কেজি। পানিফল ৫০-৮০ টাক কেজি। আঙুর- ২৭০টাকা কেজি। বেদানা-১০০ টাকা কেজি।
মুসাম্বি লেবু- জোড়া ৮০ টাকা। শসা- ৬০-৭০টাকা কেজি।

লক্ষ্মীপুজোয় খিচুড়িভোগ এক প্রধান উপরকণ। সেই ভোগের সামগ্রী ও সবজির দরও অগ্নিমূল্য। ফুলকপির খুচরো দর উঠেছে ৪০-৫০ টাকা। বাঁধাকপির দর উঠেছে ৩৫-৪০ টাকা। বেগুনের কিলোও চড়েছে ৫০-৬০ টাকা।
টমেটো ৫০-৬০ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখী আলু ২৫টাকা কেজি।
পটল- ৮০টাকা কেজি। কুমড়ো ৩০ টাকা কেজি।

খই ও মুড়কিরও দাম চড়েছে। নারকেল ছাড়া নাড়ু হয় না। তাই সেই নারকেলের দামও বেড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীপুজোর আগে। এক-একটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

ফুল ছাড়া পুজো অসম্ভব। উৎসবের মরশুমে এমনিতেই ফুলের দাম বাড়া৷ তার উপর দুর্গাপুজো চলাকালীন বর্ষার প্রকোপ তো ছিলই। সব মিলিয়ে ফুলের বাজারে হাতে ছ্যাঁকা লাগবেই মধ্যবিত্তের৷ দুর্গাপুজোর আগেও ফুলের যা দাম ছিল, লক্ষ্মীপুজোয় তা চারগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ সমৃদ্ধির দেবীর আরাধনায় গাঁদা হোক বা পদ্ম- হাত দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গাঁদার মালার দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ দোপাটি, অপরাজিতা, পদ্ম, রজনীগন্ধা- সব ফুলের দাম শুনেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে সাধারণ গৃহস্থের৷

মাতৃ প্রতিমাও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বউবাজার চত্বরে ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি শুরু হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে। যা উচ্চতা অনুসারে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম। হাজার টাকার ঠাকুরের উচ্চতা দু-থেকে আড়াই ফুট।

Previous articleমেরি কমের ব্যর্থতা ভুলিয়ে ফাইনালে ভারতের মঞ্জু
Next articleকী সম্পর্ক ছিল বিউটি পালের সঙ্গে শৌভিকের?