মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ ফুটবল লড়াই। ম্যাচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। অন লাইনে সামান্য কিছু টিকিট পড়ে রয়েছে। সোমবার সকালে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে নিশ্চিত। দুই দেশের ফুটবল যুদ্ধ দেখতে ৬০ হাজার ক্রীড়াপ্রেমী মাঠ ভরিয়ে ফেলবেন। গ্রুপ ‘ই’-র বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিলেও জিতেই অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য ঢাকা যেতে চায় সুনীলের দল।
রবিবার কলকাতায় পৌঁছে দূরন্ত অভ্যর্থনা পেলেন সুনীলরা। ব্লু পিলগ্রিম ব্যানার নিয়ে হাজির ছিলেন সমর্থকরা। ইগর স্টিম্যাচের ছেলেরা কাতারের মাটিতে কাতারকে রুখে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। কোচ বললেন, কলকাতার কথা অনেক শুনেছি। ভরা স্টেডিয়াম দেখতে মুখিয়ে রয়েছি। গুরপ্রীত তাঁর তুরুপের তাস মেনে নিয়েও বললেন, আপনারাই হতে পারেন দ্বাদশ ব্যক্তি। গোটা গ্যালারির সমর্থন পেলে তিন দূতাবাসের পয়েন্ট কলকাতা থেকে নিয়ে যাব।
কলকাতায় শেষবার বাংলাদেশ জাতীয় দল খেলেছিল ১৯৮৭ সালে। তবে সেবার অন্য গ্রুপে থাকায় ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই হিসেবে ১৯৮৬র মেক্সিকো বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা হয় ১৯৮৫ সালে কলকাতায়। বংলাদেশ হেরেছিল ২-১ গোলে। ভারতের দুটি গোল করেন বিকাশ পাঁজি ও ক্যামিলিও গঞ্জালভেস। বাংলাদেশের গোলটি করেন চুন্নু। অ্যাওয়ে ম্যাচেও ফল একই। ভারতের হয়ে গোল করেন বিকাশ পাঁজি আর শিশির ঘোষ, বাংলাদেশের আশিস ভদ্র। বাংলাদেশ শেষবার ভারতের বিরুদ্ধে জিতেছিল ২০০৩ সালে। সাফ গেমসের সেমিফাইনালে। আর ২০১৪ সালে শেষবার মুখোমুখি হয় দুই দল। ২-২ হয় সেই ম্যাচ।
বাংলাদেশ অনুশীলন সেরেছে রবিবার। সুনীল কিংবা প্রীতমরা তারকা। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর হয়ে কলকাতায় খেলে গিয়েছিলেন মামুনুল ইসলাম। তাঁর নামে জয়ধ্বনীও শোনা গেল। মামুনুলের বাঁ-পা মঙ্গলবার কতখানি কথা বলে সেটাই দেখার। মামুনুলের বিশ্বাস যুবভারতীতে মঙ্গলবার বাংলাদেশের হয়েও অনেকে গলা ফাটাবেন।