মাত্র ৪৪ বছর বয়সে আজকের দিনেই চলে গিয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা, বাংলার নবজাগরণ আর মহিলা শিক্ষায় এক অবিসংবাদিত নাম। ১৯১১ সালের এই মাসেই সস্ত্রীক বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন দার্জিলিঙে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের ধকল শরীর নিতে পারেনি। ১৩ অক্টোবর স্বামী বিবেকানন্দের প্রাণাধিক প্রিয় শিষ্যাটির মৃত্যু হয়।

আয়ারল্যান্ডের মানুষ, বাবা ধর্মযাজক। স্কুল শেষ করে শিক্ষকতা। জীবন বদলে দিল স্বামীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর্তের সেবার ব্রত নিয়ে ২৫ বছর বয়সে কলকাতায়। সেটা ১৮৯৮-র জানুয়ারি। গুরু স্বামীজির কাছেই তাঁর শিক্ষা দর্শন, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, ভারতীয় শাস্ত্র, মহাকাব্যের, এবং ব্রহ্মচর্যের দীক্ষা। ১৯০২ সালে স্বামীজির মৃত্যু। মাত্র ৪ বছর পেয়েছিলেন তাঁর সান্নিধ্য। সেই আদর্শেই তৈরি করলেন বাগবাজার নিবেদিতা স্কুল। মহিলা শিক্ষার প্রথম পদক্ষেপ। প্লেগ মহামারিতে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে নামলেন সেবায়। শুরু করলেন পল্লি সংস্কার। ভারতের বিপ্লবীদের গোপনে সাহায্য শুরু করলেন। সারদা মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ। লিখলেন বেশ কিছু বই –কালী দ্য মাদার, ক্রেডেল টেলস অফ হিন্দুইজম, আর বিবেকানন্দকে নিয়ে — দ্য মাস্টার, অ্যাজ আই স হিম।

ধর্মীয় হানাহানির এই সামাজিক আঙিনায় আজ একটু বেশিমাত্রায় মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল তথা ভগিনী নিবেদিতা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক।
