খুনের কিনারায় অসন্তোষ, জিয়াগঞ্জ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি

জিয়াগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের সপরিবারে খুনের ঘটনার 7 দিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিশ ও সিআইডি। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা নাকি স্বীকার করেছেন, একাই গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে তিনজনকে খুন করেছেন তিনি। কারণ হিসেবে অর্থলগ্নি, রশিদ না দেওয়া এবং তার প্রেক্ষিতে বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে বচসার কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত।

ঘটনায় অনেকগুলি প্রশ্ন উঠছে। রোগা, ছোটখাটো চেহারার মানুষ একা একটি বাড়িতে ঢুকে তিনজনকে কী করে খুন করলেন?
মিনিট পাঁচেকের মধ্যে তিন-তিনটে খুন কি একা উৎপলই করেছেন? না কি তাঁর এক বা একাধিক সঙ্গী ছিল?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন হয়েছে দশমীর দিন দুপুর 12টার পরে। একে দুর্গাপুজোর সময় যথেষ্ট জমজমাট এলাকা। তারপর দুপুর 12 টায় বাড়ির সবাই যখন জেগে, তখন একজনকে প্রথম মারা হলে বাকিরা চিৎকার করেননি কেন?
কোনও তীব্র আর্তনাদ শোনা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা।

একজন মানুষের পক্ষে 5 মিনিটের মধ্যে তিনজন জেগে থাকা মানুষকে পরপর খুন করা কি সম্ভব?
কিনারা হওয়ার পরেও এই প্রশ্নগুলিই উঠছে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে। আর এর ভিত্তিতেই মৃত বিউটি পালের বাপের বাড়ির লোকেরা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

উৎপলকে খুনি বলে মানতে রাজি নন তাঁরা। একই দাবি অবশ্য উৎপলের বাড়ির লোকেরও। তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উৎপল বেহেরার মা।
এদিকে খুনের কিনারা হওয়ার পরেও সন্তুষ্ট নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, সঠিক তদন্ত করলে তবেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সে ক্ষেত্রে সিআইডি নয়, সিবিআই জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

Previous articleনারদে মির্জার চার্জশিট তৈরি, মুকুলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চায় CBI
Next articleএবার ধর্ম পরিবর্তন করতে চান মায়াবতী!