নৈহাটিতে ২৪-০তে বোর্ড দখল তৃণমূলের

নৈহাটি পুরসভায় সহজ জয় তৃণমূলের। একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে ২৪-০তে বোর্ড দখল করল জোড়াফুল শিবির। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার, বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে আস্থা ভোট হয়।

নির্বাচন শুরু হওয়ার পরে দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের পরেও অনুপস্থিত বিজেপি। অথচ তাদের আবেদনের ভিত্তিতেই হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট হয়। ভোট গ্রহণের আগেই তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক ও নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ৩১ ওয়ার্ডের নৈহাটি পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। বাকি সাতজনও তৃণমূলে আসবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা।
কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলাশাসকের দফতর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।

৩১ আসনের নৈহাটি পুরসভায় সবকটি আসনই তৃণমূলের ছিল। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের জয়লাভের পর হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার মত নৈহাটির প্রায় ১৮ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৩ জন। সেক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দাবি করে চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয় বিজেপি। নবান্নের নির্দেশে নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়। কিন্তু বিজেপির তরফে বিষয়টি অনৈতিক দাবি করে পুরবোর্ড গঠনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয় প্রশাসক নিয়োগ বন্ধ করে চেয়ারম্যানকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। যেটি বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে তাঁর উপস্থিতিতেই করতে হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০ জন কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফেরায় সংখ্যাটি দাঁড়ায় তৃণমূল ২৩, বিজেপি ৮। তৃণমূল দাবি করে, তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬, বিজেপির ৫। স্বভাবতই বিজেপি যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার চিঠি দিয়েছিল, সেই অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ফের আসন দখল করা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

বুধবার দেখা যায়, তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক ও অশোক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নৈহাটি পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর জেলাশাসকের দফতরে যান। কিন্তু আসেননি বিজেপির পক্ষে থাকা ৭জন কাউন্সিলর। এর জেরে ২৪-০-তে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। জয়ের পরে অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিফলন। যে সব কাউন্সিলররা দল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন, তাঁরা সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। সেই কারণেই আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। তবে, দলের নির্দেশেই তাঁরা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ: কাল নেতাজি ইন্ডোরে উদযাপন করবে সিপিএম

Previous articleউপত্যকায় গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হিজবুল কমান্ডার নাসির চদ্রু-সহ ৩ জঙ্গি
Next articleবিধানসভা ভোটের আগে আসন্ন পুরভোটের দায়িত্বও পিকে-র হাতেই দিচ্ছে তৃণমূল