‘টাইম মেশিনে’ বসিয়ে নোবেলজয়ী প্রাক্তনীকে ছাত্রকালে ফেরাবে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সংসদ

প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছুক্ষণের জন্য ছাত্রাবস্থায় ফিরিয়ে দেবে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সংসদ। প্রাক্তনী সংসদের সচিব বিভাস চৌধুরি জানিয়েছেন,
ছাত্র হিসেবে প্রেসিডেন্সিতে কাটানো সেই তিন বছরে যাঁরা অভিজিতবাবুর শিক্ষক ছিলেন, সহপাঠী ছিলেন, জুনিয়র ছিলেন , ক্যান্টিনের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, দারোয়ান ছিলেন যিনি, একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাঁদের সবাইকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বিশেষ অনুষ্ঠানেই এবারের শ্রেষ্ঠ প্রাক্তনীর সম্মান তাঁকেই দেওয়া হবে। তৎকালীন
প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে যখন ভর্তি হয়েছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক, তখন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন মিহির রক্ষিত, অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়রা। পাশ সাবজেক্ট হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং রাশিবিজ্ঞান নিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন অমল মুখোপাধ্যায়। সেই সময় রাশিবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন অতীন্দ্রমোহন গুন। শিক্ষক ছিলেন বিশ্বনাথ দাস। এঁদের সবাইকে নিয়ে আড্ডার আয়োজন করা হবে, বলবেন অভিজিৎবাবু। গোটা অনুষ্ঠানটি রেকর্ড করা হবে। প্রাক্তনী সংসদের সম্পাদক বিভাস চৌধুরি বলেছেন, ‘‌সেই সময় অভিজিৎবাবুর শিক্ষক, বন্ধু, সহপাঠী যাঁরা ছিলেন এবং যাঁরা এখন কলকাতায় আছেন তাঁদের সবাইকে আমরা নিয়ে আসব। তখন ক্যান্টিনের দায়িত্বে ছিলেন প্রমোদদা। তাঁকেও ডাকা হবে। আমরা চেষ্টা করব সেই সময় কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যাঁরা এবং
যাঁরা এখনও জীবিত তাঁদের একত্রিত করে অভিজিৎবাবুকে সেই দিনগুলো কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরিয়ে দিতে। ওঁর স্ত্রী এস্থার দুফলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।’‌‌‌
প্রাক্তনী সংসদের অনুষ্ঠানটি হয় 20 জানুয়ারি, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন। কিন্তু ওই দিন অভিজিতবাবুকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাই ডিসেম্বর মাসেই একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানেই তাঁকে ‘‌অতুলচন্দ্র গুপ্ত বিশিষ্ট প্রাক্তনী সম্মাননা’‌ জানানো হবে বলে জানান বিভাসবাবু। বলেন, ‘‌এই সম্মান আগে পেয়েছেন অমর্ত্য সেন, বিমল জালান, সোমনাথ চ্যাটার্জি, সুকান্ত চৌধুরি, নবনীতা সেন। সেইদিক দিয়ে দেখলে অভিজিৎবাবু সবথেকে কনিষ্ঠ, যিনি এই সম্মান পাচ্ছেন।’‌

Previous articleরাত পোহালেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার বিধানসভার ভোট
Next articleবউদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা দেওরের, কিন্তু কেন?