বউবাজার সেন্ট জোসেফ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আত্মঘাতী হওয়ার পর স্কুলে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ

বউবাজারের সেন্ট জোসেফ স্কুলে আজ সোমবার সকালে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের বিক্ষোভ স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অভিযোগ ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র তুনির বন্দোপাধ্যায় পড়াশোনার চাপ সামলাতে না পেরে স্কুল ছুটির পর মেট্রোরেলের লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের পড়াশোনার চাপে আত্মহত্যা করেছে তুনির। তাঁদের আরও অভিযোগ, স্কুল খোলার পর ষান্মাসিক পরীক্ষায় দশম শ্রেণীর ছাত্রদের কাররোই পরীক্ষা ভালো হয়নি। ফলাফলে তার প্রভাব দেখা গিয়েছে। উপরন্তু স্কুলের মক টেস্ট নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগে এগিয়ে আনার ফলে পড়ুয়ারা আরও চাপে পড়ে যায়। চাপ নিতে অপারগ হওয়ায় তুনির আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে তার সহপাঠীরা জানিয়েছে, তুনির যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তা তারা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। এমনিতে মিশুকে এবং পড়াশোনায় ভালো ছাত্র তুনির তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় তারা মর্মাহত। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন এবং বৈঠকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে তা তারা গ্রহণ করেছেন। অভিভাবকরা স্মারকলিপিতে দাবি করেছেন বর্তমান প্রিন্সিপালের অবিলম্বে অপসারণ। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ইতিমধ্যে যে মক টেস্ট নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত এবং পড়ুয়াদের মধ্যে চাপের সৃষ্টি সেই মক টেস্ট তারা আপাতত গ্রহণ করা স্থগিত রাখছেন। বেলার দিকে বিক্ষোভ উঠে গেলেও অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের কথামতো কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানার জন্য তাঁরা কয়েকদিন অপেক্ষা করবেন। তারপর তাঁরা তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়েকদিনের জন্য দশম শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া বন্ধ রাখছেন। যাতে পড়ুয়াদের মানসিক আঘাত সামলে উঠতে সময় দেওয়া যায়। তুনির সহপাঠীদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। তাই তারা প্রত্যেকে প্রচন্ড মানসিক আঘাত পেয়েছে। যে নিজের ফলাফল খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সহপাঠীদের অনুপ্রাণিত করছিল যে পরের পরীক্ষাতে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে তার আত্মহত্যা কেউ সহজে মেনে নিতে পারছে না।

আরও পড়ুন-শহরে ফের বেপরোয়া চালক, এবার হন্ডা সিটি সজোরে ধাক্কা মারল বাইকে

 

Previous articleসীমান্তে দীপাবলী, মিষ্টিমুখ
Next articleরাজ্যপালের দরবারে কংগ্রেস