কোন মূল্যায়ণ গ্রহণযোগ্য! কণাদ দাশগুপ্তর কলম

কণাদ দাশগুপ্ত

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কোন মূল্যায়নটি গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য ? বিজেপির জাতীয়স্তরের শীর্ষতম নেতার ? না’কি এ রাজ্যের নেতাদের?

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, “নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হল। বিভিন্ন বিষয়ে ওঁর সঙ্গে সুষ্ঠু ও সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। মানবজাতির ক্ষমতায়ন নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে ওঁর। ভবিষ্যৎ কর্মসূচির জন্য ওঁকে শুভেচ্ছা জানাই।” বিজেপির শীর্ষনেতা নরেন্দ্র মোদি মুক্তকন্ঠে প্রশংসাও করেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেছেন, “অভিজিতের কৃতিত্বে ভারত গর্বিত।”


মোদিজি বাঙালি নন। তবুও ‘বাঙালি’ অভিজিতের অকুন্ঠ প্রশংসা করেছেন। কারন অভিজিৎ বাঙালি বা অবাঙালি বলে নোবেল পাননি। যে কারনে পেয়েছেন, সেটা বুঝেছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,”মানবজাতির ক্ষমতায়ন নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে ওঁর”।

অথচ, মোদিজির দলের কিছু ‘বাঙালি’ লোকজন সমানে বাঙালি অভিজিতকে টার্গেট করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেই চলেছেন। বলছেন, “মার্কিন মহিলা বিয়ে করলেই নোবেল পাওয়া যায়। এর আগেও একজন পেয়েছেন”। মোদিজির দলের এক প্রাক্তন ‘বাঙালি’ নেতা, বর্তমানে এক ‘বাঙালি’ রাজ্যপাল আবার জানতে চেয়েছেন, অভিজিৎ এবং বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মধ্যে ‘বিনায়ক’ কেন? জানতে চেয়েছেন, উনি কোথায় জন্মেছেন-বাংলায় না মহারাষ্ট্রে ?
মোদিজি বলেছেন, অভিজিতের কৃতিত্বে ভারত গর্বিত।
আর মোদিজির দলের এক-আধজন নেতার কথা, উনি হাফ-ভারতীয়। উনি প্রথম স্ত্রী’র সঙ্গে বিচ্ছেদ করেছেন। উনি দু’বার বিয়ে করেছেন। উনি বাম। উনি কংগ্রেসি।
মোদিজি যা বলেছেন, তার সঙ্গে ওনার দলের বাঙালি কয়েকজন ‘নেতা’-র কথা তো একদমই মিলছে না। তাহলে মোদিজি কি সাজানো কথা বললেন? বিজেপির মনের কথা কি অন্য নেতারা ইতিমধ্যেই সঠিকভাবে পেশ করেছেন ?

বিভ্রান্ত! নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিজেপি’র কার মূল্যায়ণ সঠিক এবং গ্রহনযোগ্য।

বাঙালিদের ? না অবাঙালির ?

Previous articleকালীপুজোতেও চাই সরকারি অনুদান, উঠলো দাবি
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ