পুজোর থিম ইস্টবেঙ্গল শতবর্ষ! মন্ত্রী, কিংবদন্তিদের আলোয় লাল-হলুদ রামমোহন

অভিনব, আসাধারণ, ব্যতিক্রমী। হাজার পুজোর ভিড়ে কলকাতার পুজোয় অন্য এক জায়গা করে নিল তরুণ সঙ্ঘ। মানিকতলা রামমোহন রায় রোডের কালীপুজো।

পুজোর থিম ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাক্তন সাংসদ, সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। মঞ্চ আলো করে কালীপুজোর আলোর চ্ছ্বটা বাড়িয়ে দিলেন অতীতের কিংবদন্তী ফুটবল তারকা সমরেশ চৌধুরী, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুকুমার সমাজপতি। উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির আচার্য তথা রাইস কর্ণধার সমিত রায়, এক্সাইড কর্তা অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক, শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন এবং অবশ্যই কিংবদন্তী ধারাভাষ্যকার তথা সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তীর।

যিনি নিজেই আদ্যন্ত মোহনবাগানের একনিষ্ঠ সমর্থক, তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় কেন এই থিম? কুণাল বলছেন, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান একে অন্যের পরিপূরক। একজন না থাকলে আর একজন থাকবে না। অস্তিত্বহীন। তাছাড়া শতবর্ষ। সেই লড়াই-জেদের কথা বলার সঠিক সময় আর কী হতে পারে!

অনুষ্ঠানের সুর বেঁধে দিলেন সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তী। ইস্টবেঙ্গলের জন্মলগ্নের কথা, কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে তৈরি দল, কেন লাল হলুদ জার্সি, কেন মশাল, তার ইতিহাসে ফিরে গিয়ে। সেই সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবাক করে দিয়ে ভাস্করের সেরা সেভ, ইস্টবেঙ্গলের সেরা সময়ের কথা সন-তারিখ-সময় মিলিয়ে বললেন। বুঝিয়ে দিলেন, ফুটবল মাঠে ছোটবেলায় কাদা যেমন মেখেছেন, তেমনি ফুটবল ভাবনায় তিনি অনেকের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। তাঁর ভাবনায় ইস্ট-মোহন জৌলুষ ফেরাতে গেলে বাঙালি উদ্যোগপতিদের এগিয়ে আসতে হবে, যাঁরা বাংলার সেন্টিমেন্ট, মাটি, গন্ধের সঙ্গে পরিচিত। নইলে মহমেডানের মতো একদিন বাংলার দুই প্রধানের অবস্থা হবে, অনেকটা ডোডো পাখির মতো। সরকার এমন উদ্যোগের পাশে থাকবে। ভাস্কর, মনোরঞ্জনের হয়ে মাইক ধরলেন সমরেশ। বললেন, ভাবনাটাই অন্য। ভাল লাগছে আসতে পেরে। সুকুমার সমাজপতির গলাতেও সেই সুর। ধন্যবাদ জানালেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে, যে ক্লাব তাঁদের বিখ্যাত করেছে।

মন্ত্রীর হাতে পুজোর উদ্বোধন। তবে মণ্ডপে আর এক চমক। ‘আজকাল’ সংবাদপত্রের উদ্যোগে ছবিতে ইস্টবেঙ্গলের ১০০। নিজেদের অতীতে ফিরে গিয়ে দিকপাল ফুটবলারদের চোখ তখন চকচক করছে। আর মণ্ডপের বাইরে একের পর এক স্টল। ইস্টবেঙ্গলের নানা স্মারক এবং অবশ্যই ইলিশ। কুণাল যখন ব্রাত্যর হাতে কেজি খানেকের একটি ইলিশ তুলে দিলেন, তখন ব্রাত্যর মুখের চওড়া হাসিতে বোধহয় লাল-হলুদের আভা।

ছবি- প্রকাশ পাইন

 

Previous articleকেন্দ্রশাসিত কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন গিরীশচন্দ্র মুর্মু
Next articleদুষ্মন্তকে পাশে পেল বিজেপি, হরিয়ানা হাতের মুঠোয়