আলোয় ভাসছে বাংলা, সন্ধ্যা নামলেই কালীপুজোর মাহেন্দ্রক্ষণ

আজ আলোয় ভাসার দিন। আজ কালীপুজো। কার্তিক মাস, অমাবস্যা তিথি। সকাল থেকে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠে ভিড়, ভক্তদের ঢল, তিলধারণের জায়গা নেই।

দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন, এটাই কালীপুজোর সার কথা। কালী আবার অসংখ্য নামে পরিচিত — মহাকালী, রক্ষাকালী, সিদ্ধকালী, শ্মশানকালী, দক্ষিণকালী, গুণকালী ও ভদ্রকালী।

কালীর জন্মের ইতিহাস কী? শাস্ত্রে বলা হচ্ছে, দেবতা-অসুরদের যুদ্ধ। পরাজিত দেবতারা। এবার দেবতারা বসেন প্রার্থনায়। তখন ভগবতী পার্বতীর দেহকোষ থেকে দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব। ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে নাম কালী বা কালিকা।

এই পুজো বঙ্গদেশে প্রথম চালু করেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। সময়টা কেউ বলেন ১৫০০-১৬০০ শতক, কেউ নির্দিষ্ট করে বলেন ১৭৭৭। তিনি নাকি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে কালীর রূপ দেন। যেহেতু দুষ্টের দমন, অন্ধকার থেকে আলোয় প্রবেশ, তাই এর মধ্যে এসেছে আলোর রোশনাই। শনিবার থেকেই আলোর রোশনাই। আর আজ, রবিবার সকাল থেকে ঢাক-কাঁসর ঘন্টায় বাংলা মেতেছে। সকাল থেকে উপোস। সন্ধ্যায় পুজো। বাঁকুড়া থেকে বালি, চেতলা থেকে চাঁদনি, অনেকেই থিম করেছে। চেতলায় দশ মাথার কালী যেমন নতুনত্ব, তেমনি থিমের দিক দিয়ে মানিকতলার তরুণ সঙ্ঘের ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ থিম, না দেখলে মিস করবেন।

Previous articleরাজ্যবাসীকে দীপান্বিতা কালীপুজোর শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleরাতে মাত্র দু’ঘণ্টায় আপনার বাজি শেষ করুন, অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন