বিদেশী সাংসদদের কাশ্মীর ভ্রমণ! ট্রাম্পকে দেওয়া মোদির শর্ত!

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমপিদের কাশ্মীর সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহল উত্তাল। ফ্রান্স, স্লোভাকিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম সহ বিভিন্ন দেশের এমপিরা এই দলে রয়েছেন। আর এই সফরের বিরোধিতায় সব বিরোধী দল একাট্টা। মোদি সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রকে হাস্যকর জায়গায় নিয়ে এসেছেন, বক্তব্য বিরোধীদের। কেউ কেউ বলছেন, আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মোদি এই শর্ত দিয়ে এসেছিলেন। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর এটাই ছিল মার্কিনি শর্ত। এখন নরেন্দ্র মোদি সেই শর্ত পালন করছেন! শর্তের আর কী কী রয়েছে তা আগামিদিনে প্রকাশিত হবে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষের ট্যুইট করে বলেছেন, নিজের দেশের নেতারা কাশ্মীরে যেতে পারেন না, কিন্তু বিদেশী এমপিরা গাইড নিয়ে যেতে পারেন। আসলে এই ঘটনা প্রমাণ করছে, কাশ্মীরের আসল অবস্থা কী? কতটা ভয়ের পরিবেশ রয়েছে সেখানে।

শুধু কংগ্রেস নয়, বিজেপির প্রতি তথাকথিত দুর্বল মায়াবতীও ট্যুইট করে এক হাত নিয়েছেন। বলেছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর ভারতের নেতাদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিল সরকারের। গণতন্ত্রের পক্ষে তা যথাযথ হতো। দেশের নেতাদের আটকে, বিদেশী রাজনীতিকদের কাশ্মীর ঘুরিয়ে আনায় আর যাই হোক উপত্যকার মানুষের কোনও ভাল কিছু হবে না।

সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আর এক কদম এগিয়ে বলেছেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রকে উপেক্ষা করা হল। দেশের সাংসদদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঘরবন্দি করে রাখা হয়, আর বিদেশী সাংসদরা গাইড নিয়ে ঘুরতে পারেন। এটা ভারতের রাজনীতিতে কলঙ্কের দিন।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleশিবসেনার জবাব: আমাদের কোনও দুষ্মন্ত নেই যার বাবা জেলে!