পর্যটন মানচিত্রে টেরাকোটার ঘোড়া, ছৌ নাচের মুখোশ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যে শিল্পকলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা চলছে। এবার সেই তালিকায় এলো পাঁচমুড়া ও বিষ্ণুপুরের পোড়া মাটি বা টেরাকোটার ঘোড়া। এই শিল্পকে বিশ্বের পর্যটন দুনিয়ায় তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দফতর। পোড়া মাটির ঘোড়ার আদলে তৈরি হয়েছে একটি ‘পেনড্রাইভ’, যার মধ্যে ভরা হয়েছে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্র। সেখানে যেমন রয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাস, তেমনই রয়েছে রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে পর্যটন পরিকাঠামো বিষয়ক তথ্য। “শো-পিসের” পাশাপাশি এই মডেল একটি প্রয়োজনীয় দ্রব্য।

রেড রোডে ‘পুজো কার্নিভাল’-এ উপস্থিত বিদেশি পর্যটকদের হাতে স্মারক হিসাবে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই ‘পেনড্রাইভ’। দেশে-বিদেশে পর্যটন দফতর আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় বিনামূল্যে ওই মডেল ঘোড়া দেওয়া হবে পর্যটকদের। এতে পোড়া মাটির ঘোড়ার বাজার এবং বাঁকুড়ার পর্যটন সম্ভবনা—দুইই বাড়বে বলে আশাবাদী পর্যটন দফতর।

এরপর পুরুলিয়ার ছৌ-নাচের মুখোশের আদলে এমনই একটি ‘ইউটিলিটি প্রোডাক্ট’ তৈরির ভাবনা রয়েছে দফতরের। ছৌ-নাচের মুখোশের আদলে একটি ‘ফ্রিজ ম্যাগনেট’ তৈরি করা হবে। সেটিও বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে পর্যটকদের মধ্যে। বিনামূল্যে এ ধরনের জিনিস বিতরণ করলে তাঁদের খুব একটা লোকসান হবে না, উল্টে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসার হবে বলে আশা পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের।

Previous articleবাংলায় নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
Next articleমালির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ৫৩ সেনা, সন্দেহের তির আইএসের দিকে