মুখ্যমন্ত্রীর কল্যাণে বদলাচ্ছে সুন্দরবন, জঙ্গলমহলের স্বাস্থ্য পরিষেবা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উপকৃত হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক বাসিন্দারা। সুলভে ওষুধ, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পরিষেবা ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সমাজের সব স্তরের মানুষই উপকৃৎ হচ্ছেন। এবার সুন্দরবন এবং জঙ্গলমহলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবা মজবুত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। অসুস্থ রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই ফেরি করে শহরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে, মহকুমাস্তরেই সকলকে সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ অভিযানের অধীনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে একটি নতুন মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরি হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতেই সেটি চালু হওয়ার কথা। এতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রান্তিক মানুষদের পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম প্লাসের উদ্যোগে নৌকোর মাধ্যমে পরিবহনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি মহিলাদের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ওয়েটিং হাট বা প্রাক প্রসব ঘর তৈরি করছে। সন্দেশখালি, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবায় ইতিমধ্যেই সেগুলি চালু হয়েছে। এর ফলে প্রসবের আগে ও পরে শিশু ও প্রসূতির মৃত্যুর হার কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।


উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হয়েছে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুলা হাসপাতালে ও কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে আরও দুটি ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে।
সুন্দরবনের পাশাপাশি, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে দুটি মেডিক্যাল কলেজ খোলা হচ্ছে। যাতে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারাও ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ অভিযানের সুফল লাভ করতে পারেন।

বেলদার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এই বছরের ডিসেম্বরে চালু করার চেষ্টা চলছে। পুরুলিয়ায় দুটি, বাঁকুড়ায় সাতটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচটি, ঝাড়গ্রামে তিনটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে আজ সোনিয়া- পাওয়ার বৈঠকে মহারাষ্ট্র নিয়ে কথা

Previous articleদিল্লিতে আজ সোনিয়া- পাওয়ার বৈঠকে মহারাষ্ট্র নিয়ে কথা
Next articleফের নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি রাজ্যে