রাখির সঙ্গে অভিনয়ে অভিভূত শিক্ষিকা কী বলছেন?

অর্পিতা ভাদুড়ি। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। হঠাৎ দারুণ সুযোগ। রূপোলী পর্দায়। তাও আবার রাখির সঙ্গে। অভিভূত অর্পিতা বলেছেন: তথাকথিত রুপোলি পর্দার সঙ্গে আমার/আমার পরিবারের কস্মিনকালেও কোনোরকম সম্পর্ক নেই ; আর তাই এই অভিজ্ঞতাটা আমার কাছে সত্যিই অভিনব,স্বপ্নের মতো বললেও একটুও অত্যুক্তি হবেনা। জীবনে ভাবিনি রাখিদির মতো এতো বড় মাপের অভিনেত্রীর ধারেকাছে ঘেঁষার সুযোগও আমার আসবে! নির্বান ছবিতে সামান্য মুখ দেখাতে পারাটাও যেমন আমার কাছে একটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয় ; তার চেয়েও বড় ও মজার ব্যাপার হল গৌতমদা ও চৈতিদি আমাকে আর স্বর্নালীকে অনেকগুলো দিনের জন্য সারাক্ষণ ফিট করে রেখেছিল দিদির আশেপাশে,দেখাশোনার জন্য। তাই কেন কেমিক্যালযুক্ত বাজে ক্রিম মাখি আমরা,কেন টমেটো,তরমুজের রস ব্যবহার করিনা প্রসাধনী হিসেবে/মৌরলামাছ কিভাবে রান্না করলে খেতে সবচাইতে ভালো লাগে এসব ধমক/গল্প সারাক্ষণ শুনেছি। চৈতিদির মুখে আমার রান্নার প্রশংসা( ভালোবেসে মানুষ কি কিই না বলে..🤦‍♂😉❤) শুনে একদিন গম্ভীর হয়ে বললেন তেল কৈ বানাতে পারিস বাঙালদের মতো করে,কাল নিয়ে আসবি তো,দেখি কেমন শিখেছিস!! পরদিন বিরাট ভয়ে ভয়ে রেঁধে নিয়ে গেলাম আর দিদির খাওয়ার সময় অপরাধীর মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকার বেশ কিছুক্ষণ পরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে ঘোষণা করা হল,”বাঃ”..আমি তো ধরাকে সরা জ্ঞান করলাম খুবই স্বাভাবিক ভাবেই..!! 🤣

এরকম আরো অনেক স্মৃতিই এই ছবির সম্পদ আমার কাছে। তাই কতক্ষণ আছি,আদৌ আছি কিনা ছবিতে,এইসব ছাপিয়ে আমার মতো একজন অত্যন্ত সাধারণ ও ছাপোষা মানুষের কাছে টুকরো স্মৃতিগুলোই উজ্জ্বল হয়ে থেকে গেছে..!! এতোবছরে কখনও নীচের ছবিগুলো পোস্ট করার সাহস দেখাইনি ; এখন সত্যিই আমাদের সবার কাছে এটা একটা অসম্ভব ভালোলাগার-ভালোবাসার মুহূর্ত ; তাই চৈতিদির অনুমতি নিয়ে আমার কাছে থাকা কিছু ছবি পোস্ট করলাম। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পুরো অভিজ্ঞতার সুযোগটা দেয়ার জন্য আমি গৌতমদার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। 🙏

৯ নভেম্বর কোলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বানের প্রথম শো। ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় শো তেরোই নভেম্বর মিনার হলে। সুযোগ হলে দেখবেন,নির্বান আপনাদের ভালো রাখবেই..!!

আরও পড়ুন-BREAKING : দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতায় সোমবার থেকে আন্দোলনে আইনজীবীরা

Previous articleপ্রকাশিত হল গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টের লোগো
Next articleশাহরুখ একটি দেশের নাম