মহারাষ্ট্রে ট্যুইস্ট : সরকার গড়বে না জানিয়ে দিলেন ফড়নবিশ

মহারাষ্ট্রে নয়া ট্যুইস্ট। সরকার গড়ার দাবি থেকে সরে এলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এদিন সকাল থেকে দু’দুবার বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। বৈঠক শেষে চন্দ্রকান্ত পাটিল জানান, আমরা সরকার গড়ার দাবি থেকে সরে আসছি। রাজ্যপালকে তা জানিয়েও দিয়েছি।

শিবসেনা মনে করছে তারা মুখ্যমন্ত্রী পদ দখলে রাখতে পারবে। তারাই সরকার গড়বে। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব শিবাসেনাকেই দিতে হবে। এ নিয়ে এনসিপির সঙ্গে তাঁদের কথা চলছে। কংগ্রেস এক কদম এগিয়ে বলেছে, মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন হোক চায় না দল। রাজ্যে চাই স্থায়ী সরকার। শিবসেনার মতো কংগ্রেসও তাদের বিধায়কদের সরিয়ে রেখেছে। শিবসেনা বিধায়কদের উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি কাছে হোটেলে রাখলেও কংগ্রেস রেখেছে জয়পুরের হোটেলে। বিধায়কদের সঙ্গে এদিন দেখা করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে এদিনও পরিস্কার জানান, আমরা প্রথম দিন থেকে যা বলে এসেছি, আজও তাই বলছি। আমরা বিরোধী আসনে বসতে চাই। বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত শিবসেনাকে এক হাত নিয়ে বলেন, ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কং-এনসিপির সঙ্গে ওরা যদি সরকার গড়ে, তাই ওদের আগাম আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। আর সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, আমাদের বিশ্বাস, বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচা করবে। কিন্তু কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক কেনাবেচা করতে পারবে না।

কিন্তু রাজ্যপাল ভগৎ সিং এবার কী সিদ্ধান্ত নেবেন? তিনি কী দ্বিতীয় বৃহত্তম দল (৫৬ বিধায়ক) শিবসেনাকে ডাকবেন? যদি ডাকেন, তাহলে তাঁকে তো গড়িষ্ঠতা প্রমাণে সমর্থন তালিকা দিতে হবে। এনসিপি আর কংগ্রেস কী করবে? রাষ্ট্রপতি শাসন না শিবসেনাকে সমর্থন? সেক্ষেত্রে নিশ্চিত সেনাকে বিজেপির সঙ্গে তাদের ২৮ বছরের জোট ভাঙার কথা ঘোষণা করতে হবে। আর সঙ্গে নূন্যতম কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। ভোটের দু’সপ্তাহ পরেও মহারাষ্ট্রে ডামাডোল অব্যাহত।

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর মতোই রাত জেগে মহানগর সামলালেন মহানাগরিক
Next articleশচীনের রেকর্ড চুরমার শেফালির হাতে