নাগপুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে সিরিজের ফলাফল ছিল 1-1। দূষণে ভরা দিল্লির বুকে প্রথম বাংলাদেশের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছিল ভারতকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রাজকোটে প্রত্যাবর্তন ঘটায় রোহিত শর্মার ভারত। 30 রানে সিরিজ জয় ভারতের।
যদিও রবিবাসরীয় এই ম্যাচে টস হারতে হয় ভারতকে। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেও সকলের নজর কাড়েন তিন ও চার নম্বরে খেলতে নামা কে এল রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার। যখন সইফুল ইসলামের বলে মাত্র দু’রান ও 19 রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান, তখন খেলার হাল ধরেন রাহুল এবং শ্রেয়াস। তাঁদের যুগলবন্দীতে 175 রান নিজেদের স্কোরবোর্ডে লাগাতে সক্ষম হয় ভারত। রাহুলের 52 এবং শ্রেয়াসের 62 রানের ওপর ভর করে 5 উইকেট খুইয়ে সৌম্যদের 176 রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় রবি শাস্ত্রির শিষ্যরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র 9 রানে লিটন দাস সাজঘরে ফিরে গেলেও মহম্মদ নঈমের ঝোড়ো 81 রান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে স্বস্তি দেয়। যখন নাগপুরের গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকরা ধরেই নিয়েছিল যে, ভারতের হাত থেকে রবিবাসরীয় এই ম্যাচ এবং সিরিজ ফসকে যেতে বসেছে, তখন দীপক চাহারের স্পেলে কুপোকাত হয়ে যায় বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপ। তার স্পেলে একে একে ফিরে যান সৌম সরকার, মহম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিমরা। তবে শুধু চাহার নন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হওয়া শিবম দুবেও কামাল দেখিয়ে গেলেন। তিনিও তিনটি উইকেট নিয়ে কার্যত ভারতের জয় নিশ্চিত করে দিয়ে গেলেন।