অযোধ্যাকে বিশ্বমানের করতে একাধিক প্রকল্প যোগী আদিত্যনাথের

রাম মন্দির নির্মাণ নিশ্চিত হওয়ামাত্রই অযোধ্যা সাজানোর একাধিক প্রকল্প হাতে নিলো উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার৷ প্রসঙ্গত, অযোধ্যা এতদিন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্গত একটি শহর ছিল৷ যোগী অদিত্যনাথ 2018 সালে অযোধ্যাকে স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদা দিয়েছে৷ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন,
দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে অযোধ্যাকে। আপাতত চূড়ান্ত হয়েছে :

■ কিছুদিনের মধ্যেই “অযোধ্যা তীর্থ উন্নয়ন বোর্ড” ঘোষণা করবে যোগী সরকার৷ কী ভাবে অযোধ্যাকে রাম-তীর্থস্থান রূপে গড়ে তোলা যায়, সেই বিষয়টি দেখবে এই বোর্ড৷

■ অযোধ্যাকে দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়তে সময়সীমা ধরা হয়েছে 4 বছর৷

■ দেশ-বিদেশের পর্যটকরা যাতে সহজেই অযোধ্যায় পৌঁছতে পারেন, তার জন্য অযোধ্যায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে৷ এই বিমানবন্দর আগামী বছরের রামনবমীতেই উদ্বোধন করা হবে৷

■ অযোধ্যা রেল স্টেশনকে ঢেলে সাজাতে 100 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷

■ অযোধ্যায় একটি বাস টার্মিনাস গড়া হচ্ছে, যেখানে একসঙ্গে 3 থেকে 4 হাজার বাস দাঁড়াতে পারবে৷

■ উত্তরপ্রদেশ পর্যটন দফতর 13 কিমি দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণ করবে৷ পুরো রাস্তার দু’ধারে রামের জীবনীর মূর্তি এবং ছবি আঁকা থাকবে৷

■ সরযূ নদীতে ভাসানো হবে একটি অত্যাধুনিক প্রমোদতরী৷

■ পাঁচতারা হোটেল আর রিসর্টে ছেয়ে ফেলা হবে গোটা অযোধ্যা৷

এদিকে অযোধ্যার মেয়র রাকেশ উপাধ্যায় বলেছেন, “অযোধ্যা সাজানোর পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে সরকার৷ খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বাস টার্মিনাস প্রকল্পের অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে”৷ ওদিকে,
রাম মন্দির নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে, অতিরিক্ত 2 হাজার শ্রমিক নিয়োগ করছে যোগী সরকার৷

আরও পড়ুন-স্মৃতি মন্ধানার ছবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়

 

Previous articleসৎ বাবার লাগাতার ধর্ষণে কন্যাসন্তান প্রসব নাবালিকার, ধৃত নরাধম
Next articleভোজনরসিক বাঙালির ডেস্টিনেশন ‘আহারে বাংলা’