সংবাদ মাধ্যমে চোখ রাখলেই নজরে পড়ে পণের বলি বধূ। পণ চেয়ে বধূর উপর স্বামী, শ্বরবাড়ির নির্যাতন থামছে না। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। সেখানে নজির গড়লেন জয়পুরের জিতেন্দ্র সিং। রীতি মেনে বিয়ের আসরে সিআইএসএফে কর্মরত পাত্রের সমানে টাকা ভর্তি প্লেট তুলে ধরেন হবু শ্বশুরমশাই। প্লেটে রাখা ১১ লক্ষ টাকা। এভাবে বরপণ দেওয়াই না কি ওই সমাজের দস্তুর। পাত্র শিক্ষিত, রুচিশীল। শুধু পুঁথিগত নয়, শিক্ষার আলো প্রবেশ করেছে তাঁর মননে। তাই প্লেট থেকে জিতেন্দ্র সিং নেন মাত্র ১১ টাকা। তার সঙ্গে আশীর্বাদি একটি নারকেল। জামাইয়ের এহেন আচরণে কেঁদে ফেলেন পাত্রীর বাবা গোবিন্দ সিং।

পাত্রী আইনে পোস্ট গ্রাজুয়েট করে পিএইচডি করছেন। তৈরি হচ্ছেন রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসার জন্য। জিতেন্দ্রের মতে, স্ত্রী বিচারক হলে, টাকার চেয়ে অনেক বড় সম্পদ লাভ করবেন তিনি। পরে বরপক্ষ জানিয়ে দেয়, তারা পণপ্রথার বিরুদ্ধে। একবিংশ শতকে প্রতিঘরে জিতেন্দ্র সিং-এর মতো ছেলে থাকুক চায় পাত্রীর পরিবার।
আরও পড়ুন-অসুস্থ রবীন্দ্রনাথ নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন
