পিকে’র পরামর্শে  কলকাতায় ভোটের কাজ শুরু তৃণমূলের

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা,কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে 2020-এর মাঝামাঝি। এই ভোটকে সামনে রেখেই ঘর গোছানোর কাজে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিনকয়েক আগে বিজেপির কলকাতা পুরভবন অভিযান সেই লক্ষ্যেই।

বসে নেই কলকাতা পুরসভার শাসক দল তৃণমূলও। পুরভোটের ঢের আগে থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে আজ, শনিবার বিকেলে কালীঘাটের কাছে জয়হিন্দ ভবনে কলকাতার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।  এই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো থাকবেনই, এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

তৃণমূল অন্দরের খবর, প্রশান্ত কিশোর দলের শীর্ষনেতাদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন,  মোটামুটি ডিসেম্বরের মধ্যেই কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দেবেন পিকে। তাঁদের ওয়ার্ডে প্রচারের অভিমুখও নির্দিষ্ট করে দেবেন এই ভোটগুরু।

পিকে’র পরামর্শ অনুযায়ী নেমে পড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

কলকাতার নেতা, কাউন্সিলর ও বিধায়কদের জনসংযোগে জোর দিতে বলা হয়েছে। আজকের বৈঠকে  পুরভোটের প্রাথমিক ‘ডু’জ অ্যাণ্ড ডোন্ট’ নিয়ে রণকৌশল ঠিক হতে পারে।

বিগত কলকাতার পুরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। যদিও জেতার পর একাধিক বিজেপি- কাউন্সিলর দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। আবার বেশ কিছু ওয়ার্ডে বিজেপিই ছিল শাসক দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

এবার রাজনৈতিক আবহের আমূল বদল ঘটেছে। লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রভাব পড়েছে কলকাতার ভোটারদের মনেও। লোকসভার ফলে দেখা গিয়েছে শহরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলর নিজেদের ওয়ার্ডে হেরেছেন। সবকিছুই বিচার-বিশ্লেষণ সেরে ফেলেছে টিম-পিকে।

প্রশান্ত কিশোর নিজেও খতিয়ে দেখেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সূত্রের খবর, পিকে নিজে কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলরদের ‘প্লাস-মাইনাস’ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন।  এই রিপোর্টে ধরে ধরে দেখানো হয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলররা এই মুহূর্তে কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। পিকে’র বিস্তারিত তথ্যসম্বলিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে:

● নিজেদের ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি এখন কেমন,

● কোন কোন কাউন্সিলর আদৌ সক্রিয় নন,

● কোন কোন  কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ আছে,

● কোন কোন  কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলীয় কোন্দলে যুক্ত থাকা বা মদত দেওয়ার মাত্রাছাড়া অভিযোগ রয়েছে,

● কোন কোন কাউন্সিলরের ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠতা’ প্রকাশ্যে এসেছে ইত্যাদি।  একইসঙ্গে রিপোর্টে কিছু কাউন্সিলরের কাজকর্মে সন্তোষপ্রকাশও করা হয়েছে। তৃণমূল শীর্ষস্তর এই রিপোর্টকে হাতে নিয়েই পুরভোটে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বলেই দলের অন্দরের খবর।

Previous articleরানের পাহাড়ে পৌঁছে ডিক্লেয়ার ঘোষণা ভারতের, লড়ছে বাংলাদেশ
Next articleপ্যারাট্রুপাররা আকাশ থেকে নেমে কোহলিদের হাতে দেবে গোলাপি বল