গোধূলির ইডেনে বদলে যাবে বলের রঙ, গোলাপি হবে কমলা!

ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে কেন্দ্র করে মেতে উঠতে চলেছে। তিলোত্তমা কোলকাতা কার্যত গোলাপি শহরে পরিণত হয়েছে। তবে এই সাজো সাজো রবের মধ্যেই দুই দলের ক্রিকেটারদের কিন্তু ঘুম ছুটেছে। একটা চাপা টেনশন কাজ করছে সকলের মধ্যে। দর্শকরা ম্যাচটিকে উপভোগ করবেন ঠিকই, কিন্তু ক্রিকেটারদের চিন্তা পারফরম্যান্স নিয়ে।

গোলাপি বলের দিনরাতের টেস্ট। যেখানে আশঙ্কার শেষ নেই। বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যার সময়টা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখা দেবে এই টেস্টে। ফ্লাড লাইটের আলোতে বল বাড়তি সুইং করবে কিনা, নভেম্বরের সন্ধ্যার শিশিরে বল ধরতে স্পিনারদের কেমন নাকাল হতে হবে এইসব চিন্তা তো রয়েইছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে নতুন ভাবনা, আশঙ্কা এখন বিকেল আর সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণ, অর্থাৎ গোধূলি নিয়ে। সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে যে পরিবেশ, তাতে নাকি গোলাপি বলটা কমলা রঙের হয়ে চোখে লাগে।

বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি নিজেও কিছুটা চিন্তিত এই সময়টা নিয়ে। এদিন সংবাদমাধ্যমকে সেটি জানালেনও। গোধূলির সময়টা দিনরাতের টেস্ট-এর ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় বলেই মনে করেন প্রাক্তন কিউই অধিনায়ক।

তাঁর কথায়, “গোলাপি বল সাধারণ দিনের বেলা স্বাভাবিক আচরণই করে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ হবে কৃত্রিম আলোয় এই বলে খেলা। সূর্যাস্তটা এখানে বেশ দ্রুত হয়। আমার মনে হয়, ঠিক সময়টাই গোলাপি বলের ভিন্ন আচরণ বোঝা যাবে। গোধূলির সময়টাতেই এটা বেশি হবে।’’

গোলাপি বল একটা রহস্যই হয়ে থাকছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে। যদিও ২০১৩ সালে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে গোলাপি বল ব্যবহৃত হয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অবশ্য গোলাপি বলে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।

এদিকে গোধূলির সময় গোলাপি বলে খেলাটাকে চ্যালেঞ্জ ভাবছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাও তেমনটাই বললেন। ঋদ্ধির বিশ্লেষণ, ‘‘কন্ডিশন অনুযায়ী গোধূলির সময়টা চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে বল দেখা বা ধরার ব্যাপারে। তবে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’’

Previous articleরাজ্যপালকে কালো পতাকা, ধনকড় বললেন, এসব আমি অনেক দেখেছি
Next articleভাই প্রেসিডেন্ট হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদে ঘোষণা করলেন দাদার নাম! শ্রীলঙ্কা এখন রাজাপক্ষ পরিবারের হাতেই