অজিত পাওয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এর সঙ্গে এনসিপির সাধারণ কর্মী-সমর্থক বা নেতাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি যা করেছেন তা দলবিরোধী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। মহারাষ্ট্রে বিজেপির মহা-চমকের পর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এভাবেই ভাইপো অজিত পাওয়ারের কৃতকর্মের সাফাই দিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। তিনি যখন এই ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন তখন তাঁর পাশে ছিলেন উদ্ধব ঠাকরেও। শিবসেনা প্রধান বলেন, এই বিশ্বাসঘাতকতা মহারাষ্ট্রবাসী ক্ষমা করবে না।
বিজেপি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার। শনিবার সকালে রাজভবনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন এনসিপি বিধায়ক। পরে পাওয়ার-উদ্ধবের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত এক এনসিপি বিধায়ক বলেন, সকালে অজিত পাওয়ার ফোন করে রাজভবনে হাজির হতে বলেছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি শপথগ্রহণ শেষ। এরপরই আমি শারদ পাওয়ারের কাছে এসে জানাই ঠিক কী হয়েছিল, কেন যেতে বাধ্য হই। আমার নেতা শারদ পাওয়ার, আমি মূল দলের সঙ্গেই আছি।
এদিকে এনসিপি বিধায়কদের সমর্থন প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, আমাদের তিন দলের সঙ্গে 170 জন বিধায়কের সমর্থন আছে। দেখতে থাকুন, সরকার হবে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বেই। পাওয়ারের কথায়, রাজভবনে অনেককেই ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের দল ঐক্যবদ্ধই আছে। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বড় জোর 11 জনের সমর্থন আছে। কিন্তু তাঁরা যদি দলত্যাগবিরোধী আইনের কথা মাথায় না রাখেন তাহলে তাঁদের বিধায়ক পদ খোয়াতে হবে। আমি আশা করব সেই ভুল তাঁরা করবেন না।