লটারিতে এই টাকা পেলে আপনি পাগল হতে বাধ্য

আপনি কত টাকা লটারিতে পেলে আনন্দে পাগল হয়ে যাবেন? এক কোটি-দু’কোটি! কিন্তু এক ব্রিটিশ দম্পতি লটারিতে যে টাকা পেয়েছেন, তা পেলে আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে বাধ্য।

দম্পতি থাকেন পশ্চিম সাসেক্সে। স্টিভ থমসন। বয়স ৪২। প্রোমোটিং ব্যবসা। স্ত্রী লেঙ্কা। মূলত স্লোভাকিয়ান। কাজ করেন একটি দোকানে। তিন সন্তান। তিন বেডরুম বাংলোয় থাকেন। মোটামুটি স্বচ্ছল। হঠাৎ নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে একটা লটারির টিকিট কিনে নেন। আর সেই টিকিট ব্রিটেনে কেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি প্রাইজ হতে চলেছে। ১৯ নভেম্বর তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ডের পুরস্কার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯৬৬ কোটি টাকা। চক্ষু চড়কগাছ হবে না! ১৭ বছরের বিবাহিত জীবনে পৌঁছে তাঁরা যে অর্থ লটারিরি ভাগ্যে পেলেন, যার জেরে তাঁরা এখন ফুটবলার গারিথ বেল, অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন কিংবা রক স্টার রনি উডের চেয়েও ধনী ব্যক্তি হলেন। থমসন টিকিট কেটে ভুলেই গিয়েছিলেন। শুক্রবার কাজে বেরনোর আগে মোবাইলে টিকেটের নম্বর মিলিয়ে দেখতে গিয়ে আবিষ্কার করেন তিনি লটারির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্থ জিতে ফেলেছেন। আনন্দে পাগল হয়ে গিয়েছলাম। নিজেকে চিমটি কেটে জিজ্ঞাসা করছিলাম। কিন্তু কী করতে হবে বুঝতে পারছিলাম না। আমার গাড়ি থেকে নেমে মনে হল প্রতিবেশির বাড়ি যাই। কিন্তু তা না করে ফের ফিরলাম গাড়িতে। মনে হচ্ছিল হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। এবার স্ত্রী যেখানে কাজ করে সেখানে গিয়ে তাকে বের করে এনে গাড়িতে বসালাম। টিকিটটা দিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম এক মিলিয়ন জিতেছি। পরে যা দেখলাম তা ভাবনার বাইরে… আমরা ঠিক করলাম, দিনের কাজ শেষ করব আগে। তার আগে কাউকে কিছু বলব না। টিকিটটা পার্সে ঢুকিয়ে ক্লায়েন্টের বাড়ি রঙ করার পাট চুকিয়ে এলাম। আর একদিন যেতে হবে সবটা শেষ করতে। কারণ, এক গ্রাহক এ নিয়ে কথা শুনিয়েছিল। কাজ শেষ হতে গ্রাহকও খুশি। এরপরে যতক্ষন না কেমলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তার আগে পর্যন্ত বিশ্বাস হয়নি। স্ত্রী বললেন, আমি রোজকার মতো মেজ ছেলেকে ফুটবল মাঠে নিয়ে গিয়েছি। ছেলেদের স্কুল ড্রেস ইস্ত্রি করেছি, টিফিন তৈরি করেছি। শেষে পরদিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রী তাদের বাবা-মার কাছে এই খবর জানায়।

এতটাকা নিয়ে কী কিরবেন? থমসন দম্পতি বললেন, প্রথমে একটা বড় বাড়ি চাই। পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকতে চাই। তিন ছেলে-মেয়ের জন্য আলাদা ঘর। আর মেয়ের জন্য পিঙ্ক আই ফোন! কিন্তু বাকি টাকা! ভাবিনি। তবে আগের মতো কাজ নিশ্চিত করব না। একটু বিলাস তো আশা করতেই পারি!