রাজ্যজুড়ে নয়া আতঙ্ক ‘স্ক্রাব টাইফাস’, ৯০ দিনে আক্রান্ত ১৫০০

ডেঙ্গু’র দোসর হয়ে রাজ্যে কার্যত প্রায় ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে বেনজির ‘স্ক্রাব টাইফাস’। ডেঙ্গু প্রকোপের উপর বিষফোঁড়া হয়ে স্ক্রাব টাইফাস। এতদিন এই স্ক্রাব টাইফাস গ্রাম বা শহরতলিতে সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন থাবা বসাচ্ছে কলকাতাতেও। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে গত তিন মাসে রাজ্যে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গির মতোই। অনেক সময় ডেঙ্গির চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর জানা যাচ্ছে রোগটি ‘স্ক্রাব টাইফাস’। জ্বর, মাথাব্যথা, ঝিমুনি ভাব, মাঝেমধ্যে খিঁচুনি-ই স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ৷

এই স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা কঠিন নয়। খরচও কম। প্রথমদিকে ধরা পড়লে অ্যান্টি-বায়োটিকেই সুস্থ হচ্ছেন আক্রান্ত৷। তবে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলেই সমস্যা জটিল হচ্ছে ৷ আসলে স্ক্রাব টাইফাস নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। সে কারণেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসের প্রকোপ। এদিকে, স্ক্রাব টাইফাসের মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

১৯টি জেলা হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা- কিট পাঠানো হয়েছে৷ প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নির্দেশ গিয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখার৷ রাজ্যের সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজে মনিটরিং সেল তৈরি হয়েছে৷ স্বাস্থ্য ভবনের হিসেবে, গত তিন মাসে রাজ্যজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে এই রোগে মৃত্যুও হয়েছে। স্ক্রাব টাইফাস মোকাবিলায় তাই ঝুঁকি না নিয়ে, দ্রুত রোগ নির্ণয়ের দিকে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতোই নির্দেশ গিয়েছে জেলায় জেলায় ৷

আরও পড়ুন-ছক কষেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন

 

Previous articleছক কষেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন
Next articleলতাজিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন উদ্ধব ঠাকরে