জীবনযুদ্ধের রসদ খুঁজে নিতেই লং মার্চে ভিড় বাড়ছে শ্রমিক-কর্মচারীদের

শুরু হয়েছে ৩০ নভেম্বর। পায়ে পায়ে পথচলা শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। লং মার্চের ভিড়ে একদিকে প্রতিবাদের বার্তা, অন্যদিকে সঙ্কটের চালচিত্রে জোটবদ্ধ থাকার শপথ। উত্তরের রোডম্যাপ মালদা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি। আর দক্ষিণের মিছিল শুরু হয়েছে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভের রেল ইঞ্জিন কারখানা চত্বরের সামনে থেকে। এর গন্তব্য কলকাতা। প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার পথ পেরনোর অক্লান্ত যাত্রাপথ।

শ্রমিক-কর্মচারীদের রুটি-রুজির লড়াই আর কর্মক্ষেত্রে প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বার্তা দিতে কেন্দ্রীয় বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেসও। চারদিন অতিক্রান্ত। পায়ে পায়ে অসংখ্য মানুষের মিছিল ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আর রাজ্যে তৃণমূল সরকার দুই শক্তির বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলছে লং মার্চের মিছিল। কর্মসংস্থানের অবস্থা ভয়াবহ। শ্রমিকবিরোধী নীতি, লাগাতার ছাঁটাই, স্বেচ্ছাবসরের চাপ। কর্পোরেট করার নামে লাভজনক শিল্পকেও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত। দেশজুড়ে প্রায় মন্দার পরিস্থিতি। অথচ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই মানুষের কঠিন জীবন-সংগ্রাম ও ন্যায্য দাবির বিষয়ে উদাসীন। উত্তরবঙ্গে ধুঁকতে থাকা চা শ্রমিকদের লড়াই ও আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধ ও রুগ্ন কল-কারখানার নাছোড় শ্রমিক-কর্মচারীদের মনোবলই লং মার্চের সম্পদ। জানুয়ারিতে দেশজোড়া শ্রমিক ধর্মঘটের দাবিগুলিকে তুলে ধরতেই লং মার্চে পা মেলাচ্ছেন সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ।

 

আরও পড়ুন-কেজরিওয়ালকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন গম্ভীর

 

Previous articleআসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র বিজেপি যোগ ফাঁস
Next articleলকেট মমতাদির পাশে থাকলেই ভাল হত, তবে..। কুণাল ঘোষের কলম