মাওবাদীরাও ভয়ে কাঁপে! পাশবিক ধর্ষকরা মনে হয় ভুলে গিয়েছিল আইপিএস সজ্জানার নাম

১৯৯৫ সালে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের সর্বোচ্চ পদে বসেছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তেলঙ্গনায় বদলি হয়ে চলে আসেন তিনি। যেখানেই গিয়েছেন সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। তিনি আর কেউ নন, হায়দরাবাদ কাণ্ডে ধর্ষকদের এনকাউন্টারের “মাস্টার মাইন্ড” আইপিএস ভিসি সজ্জানার। যিনি গোটা দেশে “এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট” হিসেবে পরিচিত। তাঁর এনকাউন্টারের ইতিহাস নতুন নয়।

ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় “এনকাউন্টার” নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু এদিন চার ধর্ষকের এনকাউন্টারে খুশি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা।

সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি দফতরে কাজ করা এক মহিলার কথায়, ধর্ষকরা পাশবিক কাণ্ড ঘটানোর আগে ভুলে গিয়েছিল ওই অঞ্চলের কমিশনারের নাম। ধর্ষকরা মনে হয় জানতো না আইপিএস সজ্জানার ট্র্যাক রেকর্ড। যদি জানত, তাহলে এমন কাজ করার আগে তারা একলক্ষবার ভাবতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার এক কলেজ ছাত্রী মুচকি হেসে বললেন, ধরা পরার পরেও পুলিশ লকাপে বসে বিরিয়ানি-চাঁপ খেয়েছে বর্বর চার ধর্ষক। তারা সম্ভবত বুঝতেই পারেনি এতো আপ্যায়নের ব্যবস্থা কেন, আসলে এই পৃথিবীতে তারা আর অল্পকটা দিনের বাসিন্দা মাত্র! সেটা মনে হয় আইপিএস সজ্জনার সেদিনই ঠিক করে ফেলেছিলেন।

আইপিএস সজ্জানার নাম শুনলে ধর্ষক বা খুনিরাই নয়, মাওবাদীরাও ঢোক গেলে। অন্ধ্রপ্রদেশে সক্রিয় মাওবাদীরা সজ্জনার নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠত একটা সময়। মাওবাদীদের অনেককেই এনকাউন্টারে খতম করেছিলেন সজ্জনার। সাইবারাবাদের পুলিস কমিশনার হিসাবে মাত্র দেড় বছর আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন সজ্জনার।

Previous articleরাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক বিল আনতে চান অধীর
Next articleফের আর্থিক জালিয়াতি, এবার হুগলির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল চীনে!