‘বহুত কঞ্জুস হ্যায় রে তু’, চিঠি লিখে গেলো চোর

মিশন আন-সাকসেসফুল!

অথচ পরিশ্রম কম হয়নি৷
মধ্য রাতে ঘেমে-নেয়ে বিস্তর মাথা খাটিয়ে ভেঙেছিলো বাড়ির দরজা৷ কিন্তু এই খাটনির কোনও দাম-ই মিললো না৷

দরজা ভেঙে বাড়ি ঢুকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে চুরি করার জিনিসপত্র৷ ঘরে জিনিস ছিলো, কিন্তু চুরি করা যায়, শত সন্ধানেও তেমন কিছু পাওয়াই যায়নি৷ পুরো খাটনিটাই জলে৷ আশা যে এভাবে ভঙ্গ হবে, তা আশাই করেনি৷ ফলে রাগ হওয়া খুবই সঙ্গত এবং স্বাভাবিক৷ সেই রাগ এবং হতাশার ঠেলাতে বাড়ির মালিকের উদ্দেশে চিঠি লিখে নিজের রাগ উগরে দিল চোর। দিনকয়েক আগে এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার আদর্শ নাগিন নগরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হাসিতে পেট ফাঁটার দাখিল নেটিজেনদের৷
ওই আদর্শ নাগিন নগরেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার পরবেশ সোনির বাড়ি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাড়িতে তালা মেরে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। তার মাঝেই এক রাতে আসে চোর। এসে বহু কষ্টে সদর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলেও চুরি করার মতো মূল্যবান কিছুই পায়নি সে।
বৃহস্পতিবার সোনির বাড়ির কাজের লোক এসে দেখেন, বাড়ির চাদর ও বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর ড্রয়িং রুমের কফি টেবিলে পড়ে রয়েছে একটি চিঠি। সেখানে লেখা,
“বহুত কঞ্জুস হ্যায় রে তু, খিড়কি তোড়নে কি মেহনত ভি নেহি মিলি, রাত খারাব হো গ্যায়ি!

এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, “কী কিপটে রে তুই, দরজা ভাঙার পারিশ্রমিকও পেলাম না। রাতটাই বরবাদ হয়ে গেল।”
সোনি এখনও কাজের জন্য বাইরেই রয়েছেন। তাঁর বাড়ির কাজের লোকই বিষয়টি পুলিশে জানান। চিঠির হাতের লেখা ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ ‘চোর’ বললেও, নেটিজেনরা অবশ্য ওই চোরকে, এই ক্ষেত্রে ‘চোর’ মানতে একদমই নারাজ৷ তাদের সাফ কথা, “চুরি করার কিছুই যে পায়নি, তাঁকে আবার ‘চোর’ বলা যায় না’কি ?

Previous articleদক্ষিণেশ্বরে কাউন্সিলরের ছেলেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ