যোগীর টাকা-বাড়ি চাইনা, ন্যায়বিচার চাই : উন্নাও-মৃতার বাবা

ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্যই যাচ্ছিলেন৷ সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ধর্ষণে অভিযুক্তরাই আগুন লাগিয়ে দেয় উন্নাওয়ের ধর্ষিতার দেহে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকেন নিগৃহীতা৷ শেষপর্যন্ত শনিবার গভীর রাতে 90 শতাংশ পোড়া দেহেই মারা যান ওই নিগৃহীতা। 23 বছরের মৃতা যুবতীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার।

ধর্ষিতা যুবতীর পরিবার দাবি জানিয়েছিল শেষকৃত্যের আগে যেন তাদের সঙ্গে একবার দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ দেখা করেননি যোগী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এই মহিলার মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছি।” শনিবার যোগী দু’জন মন্ত্রীকে রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় 65 কিমি দূরে উন্নাওয়ে পাঠান। যোগী আশ্বাস দেন, এই মামলার দ্রুত শুনানি হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এবং “দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” একইসঙ্গে রাজ্য সরকার জানিয়েছে নিগৃহীতার পরিবারকে 25 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং ভয়াবহ আক্রমণে 90 শতাংশ দগ্ধ হয়ে মরে যাওয়া যুবতীর পরিবারের জন্য পাকা বাড়িও তৈরি করে দেবে সরকার!ওদিকে যোগী আদিত্যনাথ সরকার যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষিতার শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য পরিবারকে রাজি করাতে তৎপর হয়ে ওঠে। ধর্ষিতা যুবতীর বাবা শনিবার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তিনি চান না যে সরকার টাকা দিক বা বাড়ি বানিয়ে দিক। তিনি কেবল মরে যাওয়া মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চান। এদিকে যুবতীর গ্রামের বাড়ির আশেপাশে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Previous articleপ্রেমের বিয়ে, এক মাসের সংসার, গ্রেফতার, অপহরণ-মুক্তিপণের মামলা!
Next articleউন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতাকে চোখের জলে বিদায় জানাল গোটা গ্রাম