প্রেমের বিয়ে, এক মাসের সংসার, গ্রেফতার, অপহরণ-মুক্তিপণের মামলা!

প্রেম করে বিয়ে। এক মাসের সংসার সারা। কিন্তু তার জন্যে কি না পুলিশের চার্জশিট! মামলা গড়াল হাই কোর্টে! প্রেম জিতবে না আইন জিতবে?

পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা থেকে যেন উঠে আসা দুটি নাম। সুচেতা আর শুভঙ্কর। দুজনেরই বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রেম পর্ব চলার মাঝেই বছর দুই আগে বাড়ি ছেড়ে যুগলে চলে আসে কলকাতায়। তারপর রেজিস্ট্রি, ছবি তোলা পর্ব, মিষ্টি মুখ এবং এক সঙ্গে সংসার পাতা। কাজের সূত্রে সল্টলেকে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন শুভঙ্কর। সেখানেই সংসার পাতা ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বরে। অর্থাৎ ঠিক দু’বছর আগে। সপ্তাহ চারেক যেতে না যেতেই সুখের সংসারে পুলিশি হানা। বিধাননগর পুলিশ শুভঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল অপহরণের। গ্রেফতার। সুচেতাকে বাবা-মা বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন বাড়িতে। গ্রেফতারের পর শুভঙ্করের বিরুদ্ধে যুক্ত হল আর একটি অভিযোগ, মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগ। কিন্তু পুলিশি গ্রেফতারি থেকে রক্ষা পেলেন শুভঙ্কর বিয়ের ছবি, বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের শংসাপত্র কোর্টে দাখিল করে। হেফাজত থেকে মুক্তি। কিন্তু মেদিনীপুর আদালতে পুলিশ শুভঙ্করের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দিয়ে চার্জশিট পেশ করে। বিয়ে করার অভিযোগে অপহরণকারী সাজিয়ে দেওয়া হল? শেষ দেখে ছাড়তে চান শুভঙ্করও। বিচার পেতে গিয়েছেন হাই কোর্টে। শুভঙ্করের আইনজীবী আশিস চৌধুরী বলছেন, ২ লক্ষ টাকার মুক্তিপণের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। আদালতে আমরা তা প্রমাণ করব। কিন্তু শুভঙ্কর একটু মনমরা। যার ওপর ভরসা করে ঘর বেঁধেছিলেন, তার ব্যবহারে কেমন যেন একটা পরিবর্তন! মাথায় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে সেই দুটি কবিতার লাইন, “আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি!” একাই লড়াই চালাচ্ছেন শুভঙ্কর। পাবেন কী পাশে সুচেতাকে!

আরও পড়ুন-মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত কলকাতা, দাবি কমিশনারের

Previous articleমহিলাদের জন্য সুরক্ষিত কলকাতা, দাবি কমিশনারের
Next articleযোগীর টাকা-বাড়ি চাইনা, ন্যায়বিচার চাই : উন্নাও-মৃতার বাবা