নবীন বরণের খাবার। তার টাকা দেওয়া না দেওয়া নিয়ে অভিযোগ। আর তার জেরে গ্রেফতার খাবারের দোকানের মালিক। তোলপাড় চত্বর। ঘটনা ফের সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অভিযোগ কী? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি নবীনবরণ আর ফেস্ট হয়ে গিয়েছে গত ৫ডিসেম্বর। এসএফআই-এর সংসদ। প্রথমে অভিযোগ ওঠে খাবারের টাকা নিয়ে নয়ছয় হয়েছে। সে নিয়ে সংগঠনেও বেজায় গণ্ডগোল। কিন্তু বৃহস্পতিবার অভিযোগ উঠল যে দোকানে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, তার দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল এসএফআইয়ের তিন ছাত্রী। তাদের বক্তব্য, দোকানদার হিস্যে ভুটিয়া তাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে। অভিযোগ করা হয় যাদবপুর থানায়। দোকানদারকে গ্রেফতার করে কোর্টে পেশ করা হয়েছে, যা নিয়ে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সংগঠনের আর একটি দলের পড়ুয়াদের বক্তব্য, মিথ্যা অভিযোগ করে এক গরিব দোকানদারকে বলি করা হয়েছে। ইউনিয়ানের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথের দাবি, ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারকে যদি কেউ বানানো বলেন, তাহলে আর কী বলব! অভিযোগ ফেস্টে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। অর্ডারের তুলনায় কম খাবার আসে। পচা। অগ্রিম দেওয়া সত্ত্বেও অন্য দোকানে খাবারের অর্ডার দিতে হয়। এসএফআইয়ের একটি গোষ্ঠী ভুটিয়াকে কাঁচা মালের পয়সা দিতে বলে। দু’জায়গায় খাবারের অর্ডার দেওয়ায় খরচ বাড়ে। তাই অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু ইউনিয়ন তা মানেনি। বুধবার সন্ধ্যায় তিন ছাত্রী যায় ভুটিয়ার কাছে। কেন খাবার নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে তা জানতে। তখনই ভুটিয়া তাদের নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। রোশনি গুপ্ত নামে ছাত্রী ফেস বুকে পোস্টও করে। কিন্তু কেন ঘটনার এতদিন পর দোকানে যাওয়া? টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ, বলছে এসএফআইয়ের কেউ কেউ। দেবরাজ বলছেন, কোনও দুর্নীতির প্রশ্ন নেই। সব হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও আছে।
মাস দুয়েক পরেই যাদবপুরে ছাত্র সংসদ ভোট। তার মাঝে বাম ছাত্র সংগঠনের অন্দরে ব্যাপক গণ্ডগোল। ভোটে যে বিরোধিরা এই ঘটনা ইস্যু করতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।