লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল শিবসেনা। আর রাহুল গান্ধীর তোপে পড়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে মহারাষ্ট্রে জোট সরকার চালাতে ভারসাম্য রক্ষা করল উদ্ধব ঠাকরের দল। আখের সুবিধে হল বিজেপিরই।
রাজ্যসভায় বিলের উপর আলোচনায় শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বারবার আক্রমণ করছিলেন বিজেপিকে। কখনও হিন্দুত্ব নিয়ে, কখনও পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনে। তখন মনে হয়েছিল রাজ্যসভায় হয়তো বিরুদ্ধেই ভোট দেবে শিবসেনা। কিন্তু সভাকক্ষ ত্যাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ায় কংগ্রেস শিবির বেজায় ক্ষুব্ধ। আগামিদিনে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাতে গিয়ে যে এর প্রভাব পড়বে, তা কংগ্রেসের অন্দরের খবর। লোকসভায় বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধীর ট্যুইট করেছিলেন। বলেছিলেন, জোটধর্ম না মানলে মহারাষ্ট্র সরকার থেকে কংগ্রেস সমর্থন তুলে নেবে। তারপর সমস্যা সামাল দিতে প্রথমে সঞ্জয় রাউত এবং পরে উদ্ধব ঠাকরে বয়ান দেন। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন রাতারাতি নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করলে মানুষের কাছে শিবসেনার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই যেসব প্রশ্ন রাজ্যসভায় আমরা তুলেছি তার উত্তর না পাওয়ায় আমরা সভা ত্যাগ করেছি, ভোট দিইনি। এই অবস্থান সামনে রেখে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যুক্তি, কারণ সামনে রাখতে পেরেছি।
কংগ্রেস-শিবসেনা জোট ভাঙতে মরিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বারবার খোঁচা দিয়েছেন শিবসেনাকে। বলেছেন ক্ষমতার জন্য রঙ বদল কি করে এত দ্রুত হয় তা ভাবতে অবাক লাগে! বিজেপি শিবিরের দাবি, এটা আপাতত শুরুয়াৎ। আগামী দিনে কিছুতেই কংগ্রেস-সেনা টিকবে না। ইন্ধন দিয়ে যাবে কেন্দ্রের সরকারি দল।