নাগরিকত্ব আইনের ধুন্ধুমারের মাঝেই চুপিচুপি ২১টি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়াল কেন্দ্র

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল, ঠিক তখনই চুপিচুপি এক ধাপে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম প্রায় ৫০শতাংশ বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, এবং নির্দেশিকা জারি হয়ে গেল। ২০১৩সালের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ নির্দেশকে কাজে লাগিয়ে ২১টি ওষুধের দাম এক ধাপে বাড়ানোর অনুমতি দিল কেন্দ্র। এর ফলে দাম বাড়বে বেশকিছু জীবনদায়ী ওষুধের ফলে সবজি থেকে সাধারণ বাজার যখন আক্রা, তখন জীবনদায়ী ওষুধেও ছাড় পাচ্ছেন না আমজনতা।

দাম বাড়ছে কোন ওষুধের বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি অ্যালার্জি, ভিটামিন সির। এছাড়া জীবনদায়ী ফুরোসেমাইড। এই ওষূধ যকৃত ও হৃদযন্ত্রে জল জমার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি প্রায় বছর দুয়েক ধরে সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছিল। তাদের দাবি ছিল ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণের দাম ৫-৮৮% বেড়েছে। ফলে ওষুধ তৈরির খরচ ৪০-৮০% শতাংশ বেড়েছে। স্বভাবতই ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্সের সমস্ত সদস্য এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী সরকার চাইলে এক ধাপে অনেকটাই দাম বাড়াতে পরে ওষুধের। তবে আইনটি চালু হওয়ার পর বিজেপি সরকারই প্রথম তা প্রয়োগ করল। এই সিদ্ধান্তের ফলে ২১টি ফর্মুলেশন এর ক্ষেত্রে চালু উর্ধ্বসীমা উপরে ৫০% পর্যন্ত দাম বাড়বে। সরকারের যুক্তি ওষুধগুলি বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে। এখন সেই সমস্যা দূর হওয়ায় এবার বাজারে পাওয়া যাবে এই ওষুধগুলি। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনপিপি ১২ধরনের ওষুধের ওপর দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে। এই সিদ্ধান্ত নীতি আয়োগের কাছে যায়। সরকারের ওষুধ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছেও পাঠানো হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটিও দাম বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করে। এই মতামতের ভিত্তিতেই ১২টির জায়গায় ২১টি ওষুধের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে এনপিপি। ওষুধ উৎপাদকদের বক্তব্য, জীবনদায়ী ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা যায় না। তবে উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে আনা যায়। ফলে দাম বাড়ানোর জন্য চাপ তৈরি করা যায়।

Previous articleভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
Next articleমেট্রো সফরে জিৎ, চিনতেই পারলেন না কেউ! দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও