শহরে ১৭ বাম দলের মিছিল, ম্যাটাডোরই মঞ্চ, পুড়ল বিল

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নেমেছে বামেরা। কলকাতায় নামল ১৭টি বাম দল।বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতা উত্তাল হলো বামেদের মিছিলে। তৃণমূলের মিছিলে যখন ধর্মতলা উত্তাল, তখন মৌলালি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ১৭বাম দলের মিছিলও ছিল রঙিন আর স্লোগানমুখর। ধর্মতলায় মঞ্চ করতে পারেনি বামেরা। ম্যাটাডোরকে মঞ্চ করেই প্রথম বক্তব্য রাখলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বিমান জানালেন, সরকারের এনআরসি, সিএএ, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, চাকরির দাবিতে সারা ভারতের ট্রেড ইউনিয়ানগুলি ৮জানুয়ারি হরতাল-ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। একমাত্র সঙ্গে নেই তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি এবং বিজেপির বিএমএস। সেদিন যদি তৃণমূল বাধা দেয় বোঝা যাবে আসলে কে কিসের বিরোধী!

সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ধিক্কার-প্রতিবাদ জানালেন দিল্লিতে বাম নেতাদের গ্রেফতার। মহম্মদ সেলিম বললেন, দেশ লুঠছে, দেশ বিক্রি হচ্ছে, মানুষের বাজারের আগুনে পুড়ছে। দিল্লি জ্বলছে, উত্তরপ্রদেশ জ্বলছে, কিন্তু জ্বলতে দেব না আমার রাজ্যকে।

কেন ১৯ডিসেম্বর? ১৯২৭ সালের এই দিনেই স্বাধীনতাযোদ্ধা রামপ্রসাদ বিসমিল, আশফাক উল্লাহ খান ও রোশন সিংয়ের ফাঁসি হয়েছিল ব্রিটিশ জমানায়। ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠেই এই তিন স্বাধীনতাযোদ্ধাকে সামনে রেখেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে নামল বামেরা। বামেদের অভিযোগ, এই বিল সংবিধানের স্বীকৃত সমানাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত করেছে। সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, এবং সিপিআই (এম এল) লিবারেশন সহ ১৭টি বামদল ছিল মিছিলে। সমাবেশে শেষে সিএবি বিল পোড়ানো হয়। আগামিকালও ধর্মতলায় বিকেল পাঁচটায় থাকবে বামেরা।

আরও পড়ুন-শান্তির ‘মিছিল-দিন’ দেখল কলকাতা

Previous articleশান্তির ‘মিছিল-দিন’ দেখল কলকাতা
Next articleগোলাপ হাতে ভাইরাল ছাত্রীর ছবি