টার্গেট মহুয়া! কৃষ্ণনগরে ফের প্রচারে আসছেন ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জার’ মোদি

টার্গেট মহুয়া মৈত্র! এবার লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফাযর ভোটেকৃষ্ণনগরে সম্মানের লড়াই। তার আগে ফের এই কেন্দ্রে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৩ মে মোদি দক্ষিণবঙ্গে তিনটি জনসভা করবেন। তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর। এছাড়াও বর্ধমান পূর্ব ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। মোদির কৃষ্ণনগরে সভা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর আগে গত ২ মার্চ ভোট ঘোষণার আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন মোদি। দু’মাসের মধ্যে ফের কৃষ্ণনগরে আসছেন তিনি, ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই কেন্দ্রটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে।

এর আগে গত ২ মার্চ কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে রাজ্য সরকার, তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেও সকলকে অবাক করে মহুয়া মৈত্র নিয়ে একটিও শব্দ ব্যয় করেননি মোদি। প্রসঙ্গত, ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন বিতর্কে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে মহুয়া মৈত্রের। যদিও তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজের পরই লোকসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘আমার বয়স ৪৯ বছর, আরও ৩০ বছর লড়াই করব, ফিরে আসব। ২ জন নাগরিকের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। আমার বিরুদ্ধে টাকা বা উপহার নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই।’

যদিও বিতর্কের জেরে দলে ব্রাত্য হননি মহুয়া মৈত্র। বরং দলে তাঁর ‘ওজন’-ই বেড়েছে। নদিয়া- কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তৃণমূলের নদিয়া-কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় তাঁকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে। মহুয়ার পাশে দাঁড়ান মমতাও। বলেন, ‘দল মহুয়ার সঙ্গে ছিল আছে থাকবে।’ এমনকি কৃষ্ণনগর থেকে ফের মানুষের ভোটেই মহুয়া জিতবেন বলেও ঘোষণা করেছেন মমতা। সাংসদ পদ খারিজের পরও মহুয়া দাবি করেছেন, যতই তাঁকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, কৃষ্ণনগর থেকেই দ্বিগুন মার্জিনে জিতবেন তিনি। আর মহয়ার সমর্থনে কৃষ্ণনগর থেকেই লোকসভা নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়।

অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী তথা “রাজমাতা” অমৃতা রায়কে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদি। সেই কথোপকথন খুব কৌশলে ভাইরাল করে বিজেপি। মোদি ফোনে রাজমাতা অমৃতা রায়কে বলেন, লুটের টাকা কীভাবে গরিবদেরকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই উপায় বের করার জন্য তিনি আইনি বিকল্পের দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন। ইডি যে নগদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেইসব-ই আসলে সাধারণ মানুষের টাকা। সেই টাকা যাতে গরিব লোকদের কাছে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন তিনি। মোদি আরও বলেন যে, বিজেপি যেমন একদিকে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর, ঠিক তেমনই সমস্ত দুর্নীতিপরায়ণরা একজোট হয়েছেন একে অন্যকে বাঁচাতে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের চেয়েও চব্বিশের নির্বাচনে আরও বেশি আসন পাওয়াকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে লাগাতার বঙ্গে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। একুশের বিধানসভা ভোটের মতোই ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন খোদ মোদি। ইতিমধ্যে বাংলায় বেশ কয়েকটি জনসভা করে গিয়েছেন মোদি। আগামী ৩ মে, শুক্রবার মোদি একইদিনে তিনটি জনসভা করবেন কৃষ্ণনগর, বোলপুর ও বর্ধমান পূর্বে।

আরও পড়ুন- পুরুলিয়ায় রহস্য মৃত্যু তৃণমূল নেতার, ভোটের আগে চাঞ্চল্য

Previous articleপুরুলিয়ায় রহস্য মৃত্যু তৃণমূল নেতার, ভোটের আগে চাঞ্চল্য
Next articleসোমে মনোনয়ন জমার শেষ দিন, এবার সুপ্রিম কোর্টে দেবাশিস