২০২০তে রাজ্যের সব মামলা থেকে মুক্ত হতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন

এক কৌশলী আইনি কায়দা।

তাতে সারদাকান্ডে অন্তত শ’দুই মামলার অবসান করে জেলমুক্তি পেতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন। কয়েকমাসের মধ্যেই এটা ঘটবে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মামলায় তিনি আটকে থাকতে পারেন।

বিষয়টা এরকম: রাজ্যের যে বিপুল মামলা, তার কিছু সিবিআই নিয়েছে।

তার পরেও সুদীপ্তকে প্রায় ১৮০টি মামলা লড়তে হচ্ছে।

এদিকে রাজ্যের এই মামলাগুলির সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর। সুদীপ্ত ২০১৩ সাল থেকে বন্দি। এপ্রিল থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে মামলাগুলি হয়েছে।

ফলে ২০২০ সালে প্রতিটিরই সর্বোচ্চ মেয়াদের সাজা শেষ হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে একটি মামলায় সুদীপ্তর ৩ বছর সাজা হয়। তার মেয়াদ তো ২০১৭তেই শেষ।

আইনজ্ঞ মহলের খবর, সেজন্য সুদীপ্ত রাজ্যের মামলাগুলিতে উকিল না দিয়ে নিজে সওয়াল করে দোষ স্বীকার করার রণকৌশল নিয়েছেন।

এতে মামলার উকিল এবং জামিন বন্ড, কোনো খরচই লাগছে না।
দোষ স্বীকার করলে যে কারাদন্ড পাবেন, সেই সময়টা এমনিতেই কভার হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। ফলে মুক্তি নিশ্চিত।

সূত্রের খবর, এই আইনি রণকৌশলেই এগোচ্ছেন সুদীপ্ত সেন। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালে রাজ্যের সব মামলার জাল থেকে তিনি বেরিয়ে যাবেন।

তবে সিবিআই, ইডির মামলা তিনি লড়বেন। সেখানে তাঁর উকিলবাবুও আছেন। রাজ্যের মামলায় তিনি নিজেকে অসহায় দেখিয়ে উকিল দিচ্ছেন না। কোর্ট লিগাল এইড থেকে উকিল দিচ্ছে কোথাও কোথাও। তারও দরকার নেই। সুদীপ্তর রণকৌশল, দোষ স্বীকার করে সাজা ঘোষণা করিয়ে দেখিয়ে দেওয়া তাঁর সেই সময়টা জেলে থাকা হয়ে গেছে।

আদালতসূত্রের বক্তব্য, অকারণ আর মামলা লড়ার খরচ না করে আইনিভাবে ঠিক পদক্ষেপই নিয়েছেন সুদীপ্ত।

Previous articleআজ ফের কলকাতায় মমতার মিছিল, জেনে নিন এর পর কী?
Next articleকেন্দ্রের স্বীকৃতি, এইডস প্রতিরোধে দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ