বছরের শেষ দিনেও বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ৩১ তারিখ সকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন এবং সেই টুইট বার্তা তিনি লেখেন রাজভবনের ঐতিহাসিক গ্রন্থাগারে বসে। যে টেবিলে বসে তিনি সেই বার্তা লেখেন, সেখানে বসেই ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গে নথিতে সই করেছিলেন লর্ড কার্জন। নিজের টুইটেই সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এটাকে রীতিমতো ঐতিহাসিক টেবিল বলে চিহ্নিত করে সেটিকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করেছেন রাজ্যপাল। যে বঙ্গভঙ্গ রোধে রাস্তায় নেমেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, যা আটকাতে একজোটে লড়েছিলেন ভারতবাসী। সেই বঙ্গভঙ্গের যন্ত্রনাকে না বুঝেই সেটিকে মহিমান্বিত করতে চেয়েছেন বলে মতো বিশেষজ্ঞ মহলের।
Recording of New Year Message for the people of State of West Bengal in the historical Raj Bhawan Library while sitting on the iconic table from which Lord Curzon signed first Partition of Bengal in 1905. pic.twitter.com/aMDu9hNWZ0
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 31, 2019
রাজ্য তথা দেশজুড়ে যখন এনআরসি ও সিএএ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে, যখন বারবার ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের গেরুয়া রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা, তখন রাজ্যপালের এই ধরনের পোস্টে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন দেশভাগের ‘কালোদিন’ মনে করাতেই এই ধরনের বার্তা। অনেকের মতে, যেভাবে ভারতের অখণ্ডতাকে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর নষ্ট করেছিলেন সেই সময়ের ভাইসরয় লর্ড কার্জন, রকমই বিভেদের রাজনীতি করছে মোদি সরকার।
বাংলায় রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। বিভিন্ন ইস্যুতেই রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছে। নানা পদক্ষেপের জেরে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ধনকড়। বছরের শেষদিনেও তার রেশ রয়ে গেল।