হিন্দি জাতীয় ভাষা! প্রেসিডেন্সির ওয়েবসাইটের লেখায় বিস্ময়, আশঙ্কা

নিজেদের ওয়েবসাইটে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা হিসাবে উল্লেখ করে নতুন বিতর্ক উস্কে দিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছাত্র সংসদ ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুন মাইতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। এর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ওয়েবসাইটেও। সেখানেও হিন্দি বিভাগের বর্ণনা করতে গিয়ে তাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সে নিয়েও হইচই হয়েছিল সেই সময়। প্রেসিডেন্সির এই বিষয়টি অবশ্য ওয়েবসাইট থেকে মুছে দেওয়া হলেও বিতর্ক থামছে না।

প্রেসিডেন্সির ওয়েবসাইটটিতে লেখা হয়েছে, হিন্দি এমন একটি ভাষা যেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ জাতীয় ভাষার অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে। প্রেসিডেন্সির মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে এই ধরণের ভুল হলো, সে নিয়ে বিস্মিত বিশিষ্টরা। অনেকেই মনে করছেন এটা আসলে ভুল নয়। ধীরে ধীরে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার একটা কৌশল মাত্র। বাস্তবত ভারতের কোনও জাতীয় ভাষা নেই। সংবিধানের ৩৪৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী হিন্দি হল অফিসিয়াল ভাষা। যদিও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। মাস কয়েক আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার স্বপক্ষে মন্তব্য করলে সে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। প্রতিবাদ শুরু হলে চাপে পড়ে তিনি সেই কথা প্রত্যাহারও করে নেন। কিন্তু আসলে এটা যে বিজেপি সরকারের কৌশল তা বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন। প্রেসিডেন্সির ছাত্রসংসদের সভানেত্রী মিমোসা ঘোড়াই বলেন, যেভাবে লেখা রয়েছে হিন্দির অধীনে রয়েছে অন্যান্য ভাষা, তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু মন্তব্য না করে তিনি বিতর্ক বরং বাড়াচ্ছেন।

Previous articleবিশ্বের বিভিন্ন দেশ-শহরে বর্ষবরণের অদ্ভুত রীতি, যা জানলে চমকে উঠবেন!
Next articleপিকের তোপ, এনআরসি আসলে নাগরিকত্বের ডিমনিটাইজেশন