নাগরিকত্ব আইন থেকে মুক্তি নেই, সব রাজ্যই এটা কার্যকর করতে বাধ্য: আইনমন্ত্রী

নাগরিকত্ব আইন ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষে ভোটাভুটি করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সংবিধানই এই আইন তৈরির অধিকার দিয়েছে। তাই যারা এখন ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে এই আইন লাগু না করার কথা বলছেন, তাঁরা অসাংবিধানিক ও বেআইনি কথা বলছেন। নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হবেই। কোনও রাজ্যের ক্ষমতাই নেই এটা আটকানোর। বছরের শুরুতে সিএএ নিয়ে এভাবেই স্পষ্ট বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

সিএএ কার্যকর করা হবে না বলে সম্প্রতি বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে কেরালা সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও একাধিক রাজ্য এই আইন কার্যকর করা হবে না বলে জনগণকে আশ্বাস দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। সংবিধান হাতে নিয়ে শপথ নেওয়ার পর সংবিধানের অবমাননা করা হচ্ছে। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়া আইন আটকানোর ক্ষমতাই নেই কোনও রাজ্যের। সিএএ থেকে মুক্তি নেই, এই আইন কার্যকর হবেই। যারা আটকানোর কথা বলছেন, তাঁরা বরং আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন তা করা যায় কিনা। রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার স্বার্থেই এসব করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে 2014 পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান মানুষদের শরণার্থী হিসাবে ঘোষণা করে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

Previous articleবধ্যভূমি উত্তরপ্রদেশ! রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজ
Next articleসৃজিতের হাত ধরে আসছেন নতুন ফেলুদা! এখনই “প্রথম দর্শন” সেরে ফেলুন