সৃজিতের হাত ধরে আসছেন নতুন ফেলুদা! এখনই “প্রথম দর্শন” সেরে ফেলুন

ফেলুদা মানেই সেরা বাঙালি গোয়েন্দা। ফেলুদা মানেই সত্যজিৎ রায়। ফেলুদা মানেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা সব্যসাচী চক্রবর্তী। ফেলুদা মানেই মগজাস্ত্র। আসলে ফেলুদা নামেই নস্টালজিক বাঙালি।

সেই ফেলু গোয়েন্দার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘সোনার কেল্লা’। এই ছবি মুক্তি পায় আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে, ১৯৭৪ সালে। সত্যজিৎ রায়ের পরবর্তী সময়ে ফেলুদা নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন সন্দীপ রায়। শেষ কয়েক বছরে অবশ্য সৌমিত্র-সব্যসাচী ব্র্যান্ডের বাইরে গিয়ে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন অভিনেতা ফেলুদার ভূমিকায় আছেন। সম্প্রতি, ফেলুদাকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরির কাজ শুরু করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

এখন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ‘ফেলুদা ফেরত’-এর শুটিং শুরু করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আর নতুন বছর শুরুর আগেই, গতকালই পুরনো বছরের শেষ দিন মিলল নতুন ফেলদার প্রথম দর্শন। দেখা মিলল নতুন তোপসে এবং জটায়ুরও। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজেই সেই তিনজনের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন।

গতকাল, ৩১ ডিসেম্বর “ফেলুদা ফেরত” ওয়েব সিরিজের ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেন পরিচালক স্বয়ং। এর আগে বড় পর্দায় ‘ফেলুদা’ সিরিজের ছবিতে টোটা রায়চৌধুরীকে পার্শ্বচরিত্রে দেখা গেলেও সৃজিতের এই সিরিজে তিনিই নতুন ফেলুদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। তোপসের ভূমিকায় দেখা যাবে নবাগত কল্পন মিত্রকে। আর জটায়ুর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, যিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ‘একেন বাবু’ নামেই। তবে এই তিনজনকে তাঁদের চরিত্রে কেমন মানিয়েছে, তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, শুধু ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ই নয়, এই ওয়েব সিরিজের জন্য সৃজিত বেছে নিয়েছেন আরও একটি গল্প—‘যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে’। ‘ফেলুদা ফেরত’ই হতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ওয়েব সিরিজ। জানা গিয়েছে, এই ওয়েব সিরিজে ১২টি পর্ব তৈরি হবে। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে কলকাতার আড্ডা টাইমস ও বাংলাদেশের আলফা আই।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ‘ফেলুদা ফেরত’-এর শুটিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পরিচালক সৃজিত। ন্যাশনাল পার্কে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করতে যাওয়ায় সমস্যা পড়তে হয় পুরো ইউনিটকে। বেশ খানিকটা সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল শুটিং। গরুমারার সংরক্ষিত বনাঞ্চলঘেঁষা এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুটিং চলছিল মূর্তি নদের তীরে। সেই সময়েই বন বিভাগের দুই কর্মী বাধা দেন শুটিংয়ে। এবং আইন ভাঙার কারণে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Previous articleনাগরিকত্ব আইন থেকে মুক্তি নেই, সব রাজ্যই এটা কার্যকর করতে বাধ্য: আইনমন্ত্রী
Next article‘‌‌আলু-পেঁয়াজ চাষ মোদিজি করেননি, তিনি কেন দায়ী হবেন?” মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাফাই দিলীপ ঘোষের