বর্ষশেষের দিনে বীভৎস দৃশ্য, মায়ের মাথায় হাতুড়ি অধ্যাপিকা মেয়ের!

বর্ষবরণের আগের দিনেই বীভৎস দৃশ্য দেখলেন মহানগরের বাসিন্দারা। একের পর এক হাতুড়ির ঘা মায়ের মাথায় মারছে অধ্যাপিকা মেয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর।

ঘটনা সল্টলেকের এক অভিজাত আবাসনে। এখানে একাই থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার এস কে প্রতিহার। আর বেঙ্গালুরুতে থাকতেন স্ত্রী দীপালি ও মেয়ে ঋতুপর্ণা। সেখানকার একটি বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনা করতেন ঋতুপর্ণা। দিন দশেক আগে দীপালি ও ঋতুপর্ণা সল্টলেকে ফেরেন। বিস্ময়ের হল তারপরেই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান প্রতিহার। মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরু ফেরার কথা ছিল দীপালি ও ঋতুপর্ণার।

আবাসনের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফ্ল্যাট থেকে বচসা ও চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন। হঠাৎই আর্তনাদ শুনতে পান। নিরাপত্তারক্ষী এবং প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। গেট বন্ধ থাকলেও দরজা বন্ধ ছিল না। তাই দরজা ঠেলে দিতেই তারা দেখেন, হাতুড়ি দিয়ে মায়ের মাথায় মারছে মেয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফ্ল্যাট। খবর যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। পুলিশ এসে মেয়েকে আটক করে। ঘরের ভিতর ঢুকে দেখা যায় রান্নাঘরের গ্যাস খোলা ছিল। কয়েকটি বাক্সে ঋতুপর্ণা আগুনও ধরিয়ে দিয়েছিল৷ দীপালি প্রতিহারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে ঋতুপর্ণার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। কোনও কথারই স্পষ্টভাবে জবাব দেয়নি। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সুযোগ বুঝে সে হাসপাতাল থেকে চম্পট দিয়েছে। তার খোঁজে নেমেছে পুলিশ।

Previous articleমালিয়ার সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে, জানিয়ে দিল আদালত
Next articleনেই কোনও তথ্য, ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরোতে গিয়ে আটক ৩০০