অলচিকি চালুর দাবিতে হাইস্কুলের গেটে তালা, বিক্ষোভে সামিল আদিবাসী পড়ুয়ারা

অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষার পাঠ্যক্রম চালুর দাবিতে নেকুড়সেনী হাইস্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় আদিবাসী পড়ুয়ারা। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের জেরে স্কুলে ঢুকতে পারেননি শিক্ষকরা। গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যজিৎ কর বলেন, “বিক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু ওই বিক্ষোভের জেরে আমরা বই দিবস পালন করতে পারলাম না। আমি মহকুমাশাসকে বিষয়টি জানিয়েছি।” এ দিন পড়ুয়া-অভিভাবকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ‘আসেকা’-র সদস্যরাও। ওই ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘আসেকা’-র জেলা সদস্য সূর্যকান্ত মুর্মু বলেন, “এখানের পাঁচটি প্রাথমিক স্কুলে আমাদের সংস্কৃতির বহু পড়ুয়া রয়েছে। নিজেদের মাতৃভাষায় পড়াশুনোর আগ্রহে তারা এই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু তারা পঞ্চম শ্রেণিতে কোথায় পড়বে? তাই আমরা ওদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের কাছে হাইস্কুলে অলচিকি চালুর দাবি জানাচ্ছি।”

মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ বিক্ষোভ উঠে যায়। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমি বিষয়টি জানতে পেরে আগামী মঙ্গলবার ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছি। শিক্ষার বিষয়ে কোথাও যদি বাধা হয়, তবে আমি সেবিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করব। তবে স্কুল বন্ধ করে বিক্ষোভ করা ঠিক নয়।” অবশ্য বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সূর্যকান্ত মুর্মু বলেন, “মহকুমাশাসক বৈঠকে ডেকেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ স্থগিত রাখলাম।” দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আরও পড়ুন-এবার বাদ বিহারের ট্যাবলোও, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদি সরকার, সরব বিরোধী শিবির

Previous articleএবার বাদ বিহারের ট্যাবলোও, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদি সরকার, সরব বিরোধী শিবির
Next articleকুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে রোজ এতজনের রান্না হত কী করে?