এবার বাদ বিহারের ট্যাবলোও, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদি সরকার, সরব বিরোধী শিবির

একের পর এক বাদ যাচ্ছে দেশের বিজেপি- বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির ট্যাবলো৷ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের ট্যাবলো বাছাই নিয়ে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ ক্রমবর্ধমান৷

কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তে ট্যাবলো বাতিল করার তালিকায় বাংলা তো ছিলোই, পরে এক এক করে ছেঁটে ফেলা হয়েছে মহারাষ্ট্র, বিহার এবং কেরলের ট্যাবলোও। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদি সরকার।

মহারাষ্ট্রের ট্যাবলো বাদ দেওয়ায় কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছেন, ‘‘ট্যাবলো কেন বাদ দেওয়া হল, সরকারকে তার কৈফিয়ত দিতেই হবে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীরও উচিত বিষয়টি তদারকি করে দেখা। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানতে হবে।’’ এর আগে NCP সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস গোটা দেশের উৎসব। তাতে প্রত্যেক রাজ্যকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু এই সরকার পক্ষপাতিত্ব করছে। বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।’’
শুক্রবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে কেরলের আইনমন্ত্রী একে বালন বলেছেন, ‘‘কেরলের ট্যাবলো বাদ দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার আগে কেউ দেখেনি”৷

বাংলা, মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির ট্যাবলো বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বিহারে বিজেপি- নীতীশ কুমারের জোট সরকারের ট্যাবলোও বাদ দেওয়া নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হচ্ছে৷ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা যখন চলছে, তখনই লাগাতার জোট বিরোধী মন্তব্য করে যাচ্ছেন জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর৷ NRC, NPR, CAA-র বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন পিকে৷ সেই কারনেই বিজেপি- JDU-র মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এত কিছু দেখেও নীতীশ কুমার চুপ থাকার জন্যই বদলা নিলো বিজেপি নেতৃত্ব। তাই নীতীশের তিনটি বিষয়ের উপর ট্যাবলো পাঠানো প্রস্তাব খারিজ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সূচিতে কেন্দ্র মাত্র 22টি ট্যাবলোর কথা উল্লেখ করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্রিশগড়, গোয়া, গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, ওডিশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, এই ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলো থাকবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, অর্থনৈতিক পরিষেবা সহ কেন্দ্রের আরও ৬টি দফতরের ট্যাবলো থাকবে। এর বাইরে দেশের বাকি সব রাজ্যের ট্যাবলোর প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷

আরও পড়ুন-আমেরিকার বিরুদ্ধে বদলার হুমকি আয়াতোল্লা আলি খামেনেই-র

Previous articleআমেরিকার বিরুদ্ধে বদলার হুমকি আয়াতোল্লা আলি খামেনেই-র
Next articleঅলচিকি চালুর দাবিতে হাইস্কুলের গেটে তালা, বিক্ষোভে সামিল আদিবাসী পড়ুয়ারা