রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে জেএনইউর শিক্ষকদের বিস্ফোরক মন্তব্য

এবার জেএনইউ-র শিক্ষক-শিক্ষিকারা কামান দাগলেন উপচার্য জগদীশ কুমারের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে তাঁরা বললেন, এখনই সরিয়ে দিন এই উপাচার্যকে। ইনিই হলেন সমস্ত ঘটনার মূলে। আপনাকে এর আগেও দুবার চিঠি লিখে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আপনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। সেদিন ব্যবস্থা নিলে আজকের এই দিনটি দেখতে হতো না।

দু’পাতার চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে যা হল, তা সারা পৃথিবী দেখেছে। কলঙ্কিত হয়েছে পৃথিবী বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠান। পড়ুয়া-শিক্ষকরা আক্রান্ত হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে। দু’জন শিক্ষিকাকে তুলে এনে ওরা মেরেছে। শিক্ষকদের কোয়ার্টারেও হামলা চালিয়েছে, হুমকি দিয়েছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

প্রশ্ন হল, ঘটনার সময় দিল্লি পুলিশ ছিল। তাদের সামনে দিয়ে এরা হস্টেলে ঢুকেছে। কী করে? পুলিশ দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে যুক্তি দিচ্ছে, হস্টেলে ঢোকার তাদের অনুমতি নেই! পুরো ঘটনার জন্য আমরা উপাচার্যকেই দায়ি করছি। কারণ, উপাচার্যের প্রশ্রয় ছাড়া গুণ্ডারা ঢুকতেই পারতো না। কারণ এরা অনেকেই ছিল বাইরের। আর তারা গুণ্ডামি চালিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল। অথচ তাদের ধরাই গেলো না! প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের কয়েকজন গুণ্ডাদের ঢুকতে সাহায্য করেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর তাদের কোয়ার্টারে আশ্রয়ও দিয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও পুলিশ আর প্রশাসন হাত গুটিয়ে ছিল। অবাক হয়ে আমরা দেখলাম প্রশাসন বলছে, ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরাই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছে! অথচ সারা ভারত দেখেছে কারা এসব করেছে।

যার মদতে এই বর্বরতা হয়েছে, তাঁকে কী শিক্ষাব্রতী বলা ঠিক হবে! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নতি মোটেই উপাচার্যের লক্ষ্য নয়। তিনি কিছু মানুষের স্বার্থ সিদ্ধি করতে নেমেছেন। আসল ঘটনা জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের দরকার। সেটা আদৌ কি সম্ভব? কারণ, উপাচার্য জগদীশ কুমার চেয়ারে থাকলে তা কিছুতেই সম্ভব নয়। পড়ুয়া আর শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের দাবি মেনে তাই এখনই তাঁকে আপনি সরিয়ে দিন।

আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন উপাচার্যর

Previous articleপড়ুয়াদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন উপাচার্যর
Next articleকড়া পাহারা গেটে, তাহলে কোন পথে জেএনইউ হস্টেলে ঢুকল বহিরাগতরা?