রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে ইরানের বিদেশমন্ত্রীকে আটকাতে কী করল আমেরিকা?

তেহরানের সঙ্গে ফের দ্বৈরথে জড়াল ওয়াশিংটন। আগামী ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফের। কিন্তু তিনি যাতে বৈঠকে অংশ নিতে না পারেন সেজন্য ইরানের বিদেশমন্ত্রীর আমেরিকায় ঢোকার কূটনৈতিক ভিসা নামঞ্জুর করেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন ছাড়পত্র না পেলে নিউ ইয়র্কের বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় জরিফের পক্ষে। আমেরিকার এই ভিসা নাকচের সিদ্ধান্ত সুলেইমানি হত্যা-পরবর্তী পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতর চুক্তি অনুযায়ী, ইউএন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের আমেরিকায় ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এই নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে
ইরানের বিদেশমন্ত্রীর ভিসা নাকচের কারণ হিসাবে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও বিদেশ নীতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

কাসিম সুলেইমানি হত্যার অনেক আগে থেকেই ইরানের বিদেশমন্ত্রীর রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই বৈঠকটি নির্ধারিত ছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে যোগ দেন জরিফ। সুলেইমানির হত্যার পর গোটা বিশ্বের কৌতূহলের কেন্দ্রে ছিল পরশুর এই বৈঠক। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে সোমবার একপ্রস্থ কথা বলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।

আরও পড়ুন-আবহাওয়ার বদলই মারাত্মক সঙ্কট ডেকে এনেছে অস্ট্রেলিয়ায়