দিনভর নিষ্ক্রিয়, বিজেপি সাংসদ বিক্ষোভে পড়তেই সক্রিয় রাজ্যপাল!

কেউ বলে “পদ্ম পাল”, কেউ বলে “বিজেপির দালাল”, আবার কেউ বলে “পর্যটক”! পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনই সব বিশেষণ উঠে আসছে। এবং সেটাই নাকি স্বাভাবিক। বিভিন্ন ইস্যুতে কখনও তিনি “নিষ্ক্রিয়” আবার কখনও বা “অতি সক্রিয়”!

আজ, বুধবার বাম-কংগ্রেসের বিভিন্ন গণসংগঠনের ডাকা সারা ভারত বনধের দিনেও রাজ্যপালের তেমনই ভূমিকা ধরা পড়ল। সারাদিন চুপচাপ রাজ্যপাল, হঠাৎ জেগে উঠলেন রাতের দিকে।

এদিন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কেন্দ্রের নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ক্যাম্পাসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে দেখে “গো ব্ল্যাক” স্লোগান দিতে থাকে।

বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, তিনি CAA নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, সেটা বন্ধ করতে এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করতেই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। কিন্তু ৭০জনের একটি দল তাঁকে বাধা দেয়। একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। উপাচার্যকেও হেনস্তা করে।

আর সারাদিন চুপচাপ থাকার পর এই ঘটনার পর হঠাৎই জেগে উঠেন রাজ্যপাল। তিনি বিজেপি সাংসদকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। রাজ্যপাল টুইটারে জানান, শান্তিনিকেতনে সাংসদকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটছে তাতে তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন। এটা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বলেই তিনি মনে করেন। এই বিষয়ে প্রশাসনের নজর রাখা উচিত। এবং কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন ধনকড়।

এখন প্রশ্ন, দিনভর রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের নামে যে গুন্ডামি হলো, সেটা নিয়ে কেন প্রতিক্রিয়া দিলেন না রাজ্যপাল? কেনই বা দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনা নিয়ে চুপ রাজ্যপাল? প্রশ্ন মানুষের? প্রশ্ন জনগণের? তাহলে কি বিশেষ বিশেষ ঘটনায় অতি সক্রিয় হয়ে উঠবেন রাজ্যপাল? বাকি সময়টা ঘুমিয়ে কাটাবেন? এ প্রশ্ন কিন্তু উঠছে জনমানসে!

Previous articleইরানের হামলার পর ট্রাম্প যা বললেন
Next articleকোন কারণে অসমের অনুষ্ঠান বাতিল হল প্রধানমন্ত্রীর?