বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ, বাঙালির আবেগ ছুঁতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর মুখে নেতাজি থেকে ভগৎ সিং হয়ে বিনয়-বাদল-দীনেশ, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের কথা। বাংলার বেলুড়ের কথা — মনের শান্তি, প্রাণের আরামের কথা, যেখানে তাঁর রাত্রিবাস।

ডালহৌসির ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ের প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের তিন নম্বর গ্যালারির নাম হবে বিপ্লবী ভারত। মনে করিয়ে দিলেন নেতাজির নামে আন্দামানের দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে, লাল কেল্লার মিউজিয়ামও বীর বিপ্লবীর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। সেই সুর ধরেই বললেন, ভিক্টোরিয়ার গ্যালারিগুলি ব্যবহার হয় না। প্রধানমন্ত্রী চান আবার তা নব কলেবর পাক। কৃষ্টির রাজধানী তার স্বাদ খুঁজে পাক এখান থেকেও। টাঁকশালে কয়েন মিউজিয়ামের প্রতিশ্রুতিও ছিল তাঁর বক্তব্যে।

আসলে এদিন প্রধানমন্ত্রী ছুঁতে চেয়েছেন বাঙালির মস্তিষ্ক নয়, হৃদয়কে। আন্দোলনের শহরকে যেন প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, তোমার ভাবাবেগকে আমি কদর করি (সে কি ঠ্যালায় পড়ে!)। তাই বলেছেন, নতুন দশকে বাংলাকে নতুন সম্মান দেওয়া হবে। তাই বারবার ফিরে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথে। উদ্ধৃতি দিয়েছেন। বাঙালির আবেগকে ছুঁতে চেয়েছেন। কিন্তু আদৌ কী পারলেন?

Previous article‘স্বামীজীর জন্মদিনে লোক দেখানো কেউ কেউ দিল্লি থেকে ছুটে আসে’, মোদিকে কটাক্ষ মমতার
Next article‘গোপনে’ এনপিআর নোটিশ দুই পুরসভায়!