আজ সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা-মায়াবতী, বিরোধী ঐক্যের ফাটলে স্বস্তিতে বিজেপি

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার বৈঠক। সোমবার দিল্লিতে এই বৈঠকটি ডেকেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ইউপিএ-র শরিক দল ছাড়াও অন্য বিরোধী দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। তার আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়েছে। সোনিয়া নিজে বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন বিভেদমূলক ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। তবে বিরোধীদের এই বৈঠক বিজেপির বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব ইস্যুতে সর্বসম্মত ঐক্য গড়ার বদলে ভাঙনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্তত বৈঠক শুরুর আগেই যা পরিস্থিতি তাতে সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট। কারণ দুই আঞ্চলিক দলনেত্রী মমতা আর মায়াবতী বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। বৈঠক বয়কটের পক্ষে মমতার হাতিয়ার ধর্মঘটের দিন বাংলায় বাম-কংগ্রেসের তাণ্ডব এবং মায়াবতীর হাতিয়ার কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কংগ্রেস নেতৃত্বের উদাসীনতা। যদিও দুই নেত্রীর সিদ্ধান্তের পিছনে নিজেদের রাজ্যে ভোট ভাগাভাগির অঙ্ককেই কারণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যেমন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কার সক্রিয়তা তাঁর দলিত ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কায় মায়াবতী, তেমনি নাগরিকত্ব ইস্যুর প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ঐক্য বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করবে বলে আশঙ্কায় মমতাও। ফলে পরিকল্পিতভাবেই সোনিয়ার বৈঠক থেকে দূরত্ব রচনার কৌশল নিয়েছেন তৃণমূল ও বিএসপি সুপ্রিমো।

শুরুতেই বিরোধী শিবিরের নানা নেতা-নেত্রীর সংঘাতে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরার আভাস পেয়ে উল্লসিত বিজেপি। মমতা ও মায়াবতীর বৈঠকে যোগ না দেওয়াকে বিরোধীদের নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত সমন্বয়হীনতা ও কংগ্রেসের প্রতি তাঁদের অনাস্থা হিসাবে দেখছেন বিজেপি নেতারা। আজকের বৈঠককে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলছেন, যারা নিজেরাই একে অন্যকে সহ্য করতে পারেন না, ন্যূনতম একটি বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ঐক্যের চিত্র তুলে ধরতে যাদের প্রাণান্তকর অবস্থা, তাঁরা নাকি আবার একজোট হয়ে মোদির বিরুদ্ধে লড়বেন! নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর প্রতিযোগিতা চলছে। এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালাবে বিজেপি।

আরও পড়ুন-প্রচারের আলোয় থাকতে ফের ‘বিস্ফোরক’ দিলীপ ঘোষ

 

Previous articleমুষল পর্ব ! কু-মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষকে তুলোধোনা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র
Next articleইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ফের হামলা